জম্মু ও কাশ্মীর: সম্প্রতি ভূতত্ত্ববিদদের তরফে হিমালয়ের পাদদেশের তলার প্লেটের গতিবিধি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা গেছে খুব শীঘ্রই কাশ্মীর উপত্যকায় ৮.০ বা তার চেয়ে আরও বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে প্রায় লাখো লোকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সেই গবেষণায়।


গবেষকরা উপত্যকার মাটির তলার রিয়াসি ফাটল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলেও, তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য ফল্ট-এর মতো অতটাও বিপজ্জনক নয় এই ফল্টটি।



যদিও ২০০৫ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বা পোক অঞ্চলের বালাকোট-বাগ ফল্টের কাছে ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।কিন্তু গবেষকরা দাবি করেছেন ওটাও অতটা বিপজ্জনক ছিল না, কারণ মাটির তলার বিভিন্ন প্লেট-এর সীমান্তের চেয়ে অনেক দূরে অবস্থিত ছিল সেবারের ভূমিকম্পের উত্সস্থল।

এই গবেষণার মুখ্য গবেষক ইয়ান গ্যাভিলট জানিয়েছেন, তাঁরা গত ১০ হাজার বছরের মাটির তলার প্লেটগুলি কতটা নড়াচড়া করেছে তাই নিয়েই একটি গবেষণা করেছিলেন। সেখানে তাঁরা দেখেছেন কাশ্মীর উপত্যকার মাটির তলার রিয়াসি প্লেট-এর সেরকম নড়াচড়া হয়নি, ফল সেরকম বড় কোনও ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি উপত্যকায়। যার জেরে তাঁদের আশঙ্কা খুব শীঘ্রই বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে ভূস্বর্গে। ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, ভূমিকম্প হবে সেবিষয় কোনও সন্দেহ নেই, কিন্তু কবে হবে সেটাই তাঁদের গবেষণার মূল বিষয়।

ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, বিভিন্ন স্থানীয় বৌদ্ধ মঠ থেকে সংগৃহীত তথ্য বলছে, গত হাজার বছরে বিভিন্ন সময় কেঁপে উঠেছে পর্বতের তলার মাটি। কিন্তু ঠিক কতটা সময়ের ব্যবধানে প্লেটে প্লেটে ধাক্কা লেগে ভূমিকম্প হয়, সেব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তাই কাশ্মীরে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনার কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারলেও, ঠিক কবে হবে সেবিষয় কোনও তথ্য তাঁদের কাছে এইমুহূর্তে নেই।