নয়াদিল্লি: দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য পরোক্ষে মুসলিমদের দায়ী করে তাঁর সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাক্ষী মহারাজকে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন।  গত সপ্তাহে মিরাটে এক সন্ত সম্মেলনে সাক্ষী দাবি করেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দেশ ভুগছে। কিন্তু এজন্য হিন্দুরা দায়ী নয়, যারা চারটে করে বিয়ে, ৪০টা বাচ্চা হওয়া সমর্থন করে, তারা দায়ী।


সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে, জাতপাত, ধর্ম, বর্ণের ইস্যু তুলে ভোট প্রচার করা যাবে না। সে কারণেই স্বাক্ষীর মন্তব্যে হইচই শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ৪ জানুয়ারি থেকে কার্যকর রয়েছে মডেল আচরণবিধি। অভিযোগ ওঠে, সাক্ষী ওই মন্তব্যে তা অগ্রাহ্য করেছেন।


তবে তিনি জনসমক্ষে বা জনসভায় কথাটা বলেননি, বলেছেন সাধুদের সমাবেশে, ফলে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়নি, সাক্ষীর এহেন সাফাইয়ে খুশি হয়নি কমিশন। সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াতে পারে, ভোট প্রচারে ধর্মের ভিত্তিতে এমন যে কোনও মন্তব্যই মডেল আচরণবিধির পরিপন্থী, জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের মতও সেকরম। তাই মডেল আচরণবিধি ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করায় আপনাকে সেন্সর করা হচ্ছে। একজন দায়িত্বশীল নেতা, সাংসদ হিসাবে আপনি এবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করার সময় আরও যত্নবান হবেন বলেই প্রত্যাশা। উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদকে কমিশন সাবধান করে দিয়েছে, ফের মডেল নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে যত রকম অস্ত্র তাদের হাতে আছে, সব প্রয়োগ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।