আগরতলা: ত্রিপুরায় ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৬টি বুথে ফের ভোটগ্রহণ করতে বলল নির্বাচন কমিশন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সোনামুড়া, তেলিয়ামুড়া, সাব্রুম, অম্পিনগর, কদমতলা-কুর্তি ও ধানপুর বিধানসভা আসনে একটি করে বুথে ফের ভোট করাতে হবে। ধানপুর মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নিজের কেন্দ্র, সেখান থেকে তিনি টানা চারবার জয়ী হয়েছেন।
কমিশনের এই পদক্ষেপে প্রবল ক্ষুব্ধ সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর নির্বাচন কমিশন ঠিক মতো ভোট পরিচালনা করতে পারছে না বলে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে 'ফৌজদারি অবহেলা'র অভিযোগ করেছেন। এজন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সিপিএম নেতার অভিযোগ, বেছে বেছে সেই বুথগুলিতেই ফের ভোটগ্রহণ করতে বলা হল যেগুলিতে বাম প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ত্রিপুরায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের মুখে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুতে বাকি একটি আসনে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়।
কিন্তু ভোটগ্রহণের দিন কয়েকটি জায়গায় ইভিএম যন্ত্রে গণ্ডগোলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সবাই এখন জেনে গিয়েছেন, সেদিন ভোটারদের কী যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। সুদীর্ঘ বিলম্বের জন্য মাঝরাত হয়ে গিয়েছে তাঁদের ভোট দিতে। নির্বাচন দপ্তরের কর্মীদের অপদার্থতা, অযোগ্যতা, অবহেলার জন্যই এটা হয়েছে। এত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, বিশেষ পর্যবেক্ষক, মাইক্রো অবসারভার ও অসংখ্য 'অন্যান্য' কর্মী মোতায়েন করেও কেন এমন বিলম্ব, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শ্রীরাম তরনীকান্তি ও অন্যান্য কর্তা ফৌজদারি উদাসীনতা দেখিয়েছেন ভোট পরিচালনায়। কেউ রেহাই পাবেন না। ঠিকঠাক ভোট করতে না পারায় দোষীদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
কোনও দলই ওই ৬টি বুথে ফের ভোটের দাবি করেনি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভোটারদের বুথে আসতে বাধা দেওয়া, আমাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকারজলায় তিনটি বুথে ফের ভোট করানোর দাবি করি। কিন্তু তা মানা হয়নি এখনও। তাকারজলায় হিংসার জেরে ফের ভোটগ্রহণ, গণনা কেন্দ্র সরানোর দাবির ব্যাপারে জবাব চাই।
বিজেপি মুখপাত্র অশোক সিনহা অবশ্য কমিশনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ইভিএম ঠিকঠাক কাজ না করায় আমরাও ক্ষুব্ধ। কমিশন সুচিন্তিত পদক্ষেপই করেছে।