নয়াদিল্লি: বড় ধাক্কা খেতে চলেছে অরবিন্দ কেজরীবালের আমআদমি পার্টি (আপ), যারা দিল্লিতে সরকার চালাচ্ছে। 'লাভজনক পদে' রয়েছেন, এই অভিযোগে মান্যতা দিয়ে দিল্লির ২০ আপ এমএলএ-র বিধায়ক পদ খারিজ করার সুপারিশ করল নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে তারা। রাষ্ট্রপতি সুপারিশ অনুমোদন করলে বিধায়ক পদ খোয়াবেন ওই ২০ জন। ফলে দিল্লি বিধানসভায় আপের শক্তি ৬৭ থেকে কমে হবে ৪৭।
২০১৫ সালে প্রশান্ত পটেল নামে এক আইনজীবী রাষ্ট্রপতির কার্য্যালয়ে লিখিত অভিযোগে আপ বিধায়কদের সংসদীয় সচিব পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা থেকে 'লাভজনক পদ' বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ওই আইনজীবীর আবেদনকে অস্ত্র করে কংগ্রেস ২১ আপ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ চেয়ে ২০১৬-য় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।
অরবিন্দ কেজরীবাল ২০১৫-র মার্চে ওই বিধায়কদের সংসদীয় সচিব পদে নিয়োগ করেন। ওই পদ লাভজনক পদের আওতার বাইরে রাখার উদ্দেশ্যে জুন মাসে ১৯৯৭ সালের দিল্লি মেম্বার্স অব লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (রিমুভাল অব ডিসকোয়ালিফিকেশন) আইনেও সংশোধন করে তাঁর সরকার।
আপ যুক্তি দেখায়, পদটি লাভজনক নয় কারণ এ থেকে কোনও আর্থিক প্রাপ্তি হয় না। তবে আপের উদ্যোগ ধাক্কা খায় যখন ২০১৬-য় তত্কালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জুন মাসে আইনে তাদের আনা প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সম্মতি দিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টও বিধায়কদের সংসদীয় পদে নিয়োগের সরকারি নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
যদিও রাজৌরি গার্ডেনের আপ বিধায়ক জার্নেইল সিংহ গত বছর ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন বলে ওই পদে ইস্তফা দেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, কমিশনের তরফে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, সংসদীয় সচিব হয়ে আপ বিধায়করা লাভজনক পদেরই অধিকারী হয়েছেন। তাঁদের দিল্লি বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত।