নয়াদিল্লি: আগামী জুলাই মাসেই ৩০ হাজার নতুন পেপার ট্রেল মেশিন বা ভিভিপ্যাট হাতে পেতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই এই মর্মে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশে। তা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের কাছে নতুন ভিভিপ্যাট মেশিন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করেছিল কমিশন। এদিন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, বর্তমানে কমিশনের হাতে ৫৩ হাজার এধরনের মেশিন রয়েছে।
তিনি যোগ করেন, আগামী তিনমাসে আরও ৩০ হাজার মেশিন চলে আসবে। ওই কর্তা জানান, গুজরাত ও হিমাচলে নির্বাচনে ৮৪ হাজার মেশিন যথেষ্ট। এর ফলে, প্রত্যেক বুথে এই মেশিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ১৮২ আসনের বর্তমা গুজরাত বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ জানুয়ারি। অন্যদিকে, হিমাচল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ জানুয়ারি। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এই দুই রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ভিভিপ্যাট-এর পুরো নাম- ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেল। এই যন্ত্রটি ইভিএম-এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। ভোটারের ভোট ঠিক প্রার্থীর কাছে যাচ্ছে কি না বা বলা ভাল, তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, সেই প্রার্থী-ই ওই ভোট পাচ্ছেন কি না, তা বোঝা যাবে এই ভিভিপ্যাট মেশিন থেকে।
কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় এই ৮৩ হাজার মেশিন বাদ দিয়ে আরও অতিরিক্ত ১৬.১৫ লক্ষ মেশিন প্রয়োজন। সাম্প্রতিতককালে, ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ার পর বহু রাজনৈতিক দলই এই ভিভিপ্যাট মেশিনের দাবি তুলে আসছে।
সম্প্রতি, ইভিএম-এর পরিবর্তে পুনরায় ব্যালট সিস্টেমে ফেরার দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় ১৬টি রাজনৈতিক দলের এক প্রতিনিধিদল। তাদের দাবি, ইভিএম-এর তুলনায় ব্যালটের ভোটগ্রহণ হল অনেক স্বচ্ছে।