নয়াদিল্লি: আগামী ১ ফেব্রুযারি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের পর লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। সমীক্ষায় চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হারে সঙ্কোচনের অনুমানের কথা জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী আর্থিক বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ইংরেজে অক্ষর ভি আকৃতির মতো হবে বলেও পূর্বাভাস করা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার অনেক বেশি হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফার মেয়াদে এটি তৃতীয় আর্থিক সমীক্ষা।
আর্থিক সমীক্ষায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি লকডাউনের কারণে প্রভাবিত অর্থনীতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি আর্থিক বর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিক আর্থিক বৃদ্ধির হার ২৩.৯ শতাংশ ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৭.৫ শতাংশ হারে পড়েছে। সব মিলিয়ে পুরো অর্থবর্ষে বৃদ্ধির ৭.৭ শতাংশ হারে সঙ্কোচন হবে বলে অনুমান করা হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে। আগামী অর্থবর্ষে মোট অভ্যন্তরীন উৎপাদন (জিডিপি)-র হার ১১ শতাংশ হতে পারে বলে সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।
মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি বেঙ্কট সুব্রহ্মন্যমের নেতৃত্বে ২০২০-২১-এর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য দেওযার পাশাপাশি আর্থিক বৃদ্ধির হাতে গতি দানের জন্য আগামী দিনে কী ধরনের সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আর্থিক সমীক্ষায় গত এক বছরে দেশের অর্থব্যবস্থার চিত্র প্রতিফলিত হয়। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার দিক নির্দেশিকাও দেওয়া হয় এই রিপোর্টে।


শুক্রবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন যে, গণতন্ত্রের সমস্ত মর্যাদা পালন করে সভার সমস্ত সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে জনগনের আশাআকাঙ্খা পূরণে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাই এই দশকের প্রথম বাজেট অধিবেশন। ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এই দশক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অধিবেশনে সমস্ত চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ও মন্থনের মাধ্যমে অমৃত বেরোবে, এমনটাই দেশের আশা।