নয়াদিল্লি: আগামীকাল সংসদে পেশ হবে সাধারণ বাজেট। তার আগে আজ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সমীক্ষায় চলতি অর্থবর্ষ ২০১৬-১৭-তে  ৬.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। সমীক্ষায় তার থেকে প্রায় ১ শতাংশ কম বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮-তে আর্থিক বৃদ্ধির হার ঘুরে দাঁড়াবে এবং তা ৬.৭৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ হতে পারে।
আর্থিক সমীক্ষা  রিপোর্টে অর্থমন্ত্রী আরও বেশি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ায় কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর দেশের মোট অভ্যন্তরীন উত্পাদন (জিডিপি)-র হার ৭.১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই হার অনেকটাই কম । নোট বাতিলের প্রভাবেই জিডিপি-র হারে টান পড়েছে বলে সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সমীক্ষায় ভারতের আর্থিক অগ্রগতিতে কয়েকটি বিষয় ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সম্পত্তির অধিকারের নীতি সম্পর্কে দোদুল্যমানতা এবং জরুরি পরিষেবা প্রদান ও পুনর্বন্টণের মতো বিষয়ে সরকারি খামতি-র মতো বাধার বিষয়গুলি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত অর্থবর্ষ ২০১৫-১৬-র তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশ বেড়ে হবে ৪.১ শতাংশ।
শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষে হ্রাস পেয়ে হতে পারে ৫.২ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৭.৪ শতাংশ।
সমীক্ষা রিপোর্ট শ্রম ও কর নীতির সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বস্ত্র ও চর্ম শিল্পের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় সফল হতে গেলে এই সংস্কার প্রয়োজনীয় বলে জানানো হয়েছে।
এই নিয়ে পর পর তৃতীয় অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে বলেও সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা ও জ্বালানি তেলের দাম কম থাকার কারণে আর্থিকভাবে লাভ হয়েছে বলেও সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নোট বাতিলের সাময়িক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আগামীদিনে এর লাভ অনেক বেশি হবে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)  থেকে যে আর্থিক সুবিধা হবে তা বাস্তবে পেতে কিছুটা সময় লাগবে।