চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার চিনের তুলনায় কমে গিয়েছে। এই সময়ে চিনের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ। জিডিপি কমে যাওয়া নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করছে বিরোধী দলগুলি। তবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রাক্তন অধ্যাপক পানাগারিয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘নোট বাতিলের ফলে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল, সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি আমরা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। এ বছর আমাদের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ হবে। এই সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলেই আশা করছি।’
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ ছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। কিন্তু এ বছর জিডিপি-র পাশাপাশি আর্থিক বৃদ্ধির হারও তিন বছরে সর্বনিম্ন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.১ শতাংশ। বিরোধীরা এর জন্য নোট বাতিলকেই দায়ী করছেন। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান অবশ্য মনে করেন, জিএসটি এবং দেউলিয়া আইন চালু করা আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।