অবৈধ আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে জাকির নায়েকের পরিবারের সদস্যদের ১৬.৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র
Web Desk, ABP Ananda | 19 Jan 2019 05:58 PM (IST)
নয়াদিল্লি: মুম্বই ও পুণেতে বিতর্কিত ইসলামি ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েকের পরিবারের সদস্যদের প্রায় ১৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্তে নেমে এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সংস্থাটির। এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, অবৈধ আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে জাকিরের পরিবারের লোকজনের নামে থাকা ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য একটি সাময়িক আদেশ জারি করেছিল তারা। মুম্বইয়ের ফতিমা হাইটস, আফিয়া হাইটস, সেখানকার ভান্ডুপ এলাকায় একটি বেনামী প্রজেক্ট ও পুনের এনগ্রাসিয়া নামের একটি প্রকল্পকে জাকিরের আত্মীয়দের সম্পত্তি বলে চিহ্নিত করেছে ইডি। তারা বলেছে, ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা ও তার পিছনের অর্থের উত্স আড়াল করতে প্রাথমিক ভাবে পেমেন্ট হয় জাকিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে, পরে সেই অর্থ রিফান্ড করা হয় জাকিরের স্ত্রী, পুত্র, ভাগ্নের অ্যাকাউন্টে, আবার জাকিরের বদলে পরিবারের লোকজনের নামে তা বুকিংয়ের জন্য খরচ করা হয়। ইডি অর্থের যে গতিবিধি দেখেছে, তাতে এটাই বেরিয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনে (ইউএপিএ) জাতীয় তদন্ত এজেন্সির দায়ের করা মামলা বিবেচনায় রেখে ২০১৬-র ডিসেম্বর জাকিরের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে ইডি। ২০১৭-র অক্টোবরে মুম্বইয়ের এক আদালতে জাকির ও অন্যদের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিটও দায়ের করে এনআইএ। সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইডি বলেছে, জাকির জেনেশুনেই হিন্দু, খ্রিস্টান, শিয়া, সুফি ও বারেলভিদের মতো অ-ওয়াহাবি মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে কুত্সা করে তার অপমান করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা। তাঁর এধরনের আপত্তিকর ভাষণ সবচেয়ে বেশি প্রচারে যুক্ত ছিল জাকিরের সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও মেসার্স হারমনি মিডিয়া। এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য জাকির ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও অন্য অজানা উত্স থেকে অর্থ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ইডি-র। এই নিয়ে তিনবার জাকিরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত তাঁর ৫০.৪৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল। জাকির বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে চলা ইডি এই মামলায় বেআইনি অর্থের লেনদেন ও তা থেকে মুনাফা তৈরির অভিযোগের তদন্ত করছে। অবৈধ আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্দেশ্য, অভিযুক্ত যাতে অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তির সুবিধা না পায়।