নয়াদিল্লি: লালুপ্রসাদ যাদবের সাংসদ কন্যা মিসা ভারতী, তাঁর স্বামী শৈলেশ কুমারের ফার্মহাউস বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। দুজনের বিরুদ্ধে চলতি বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলার (পিএমএলএ) তদন্তে সাময়িক বাজেয়াপ্ত হল ফার্মহাউসটি।

আগেই দুজনকে জেরা করে বক্তব্যও রেকর্ড করেছে তদন্ত সংস্থাটি।

দক্ষিণ নয়াদিল্লির বিজওয়াসান এলাকার ২৬ পালাম ফার্মস-এর ঠিকানায় ওই খামারবাড়িটি 'মিস মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডে'র নামে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। খামারবাড়িটি ২০০৮-০৯ বছরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে খাটানো ১.২ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল বলে অভিযোগ ইডি-র।

শেল কোম্পানির মাধ্যমে কয়েকশো কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে দু ভাই, সুরেন্দ্র কুমার জৈন ও বীরেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে তদন্তের অঙ্গ হিসাবে গত জুলাইয়ে ওই খামারবাড়ি চত্বর ও আরও কয়েকটি জায়গায় হানাও দিয়েছিল ইডি। তাঁদের পিএমএলএ-র আওতায় গ্রেফতার করা হয়। রাজেশ আগরওয়াল নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও গ্রেফতার হন।

ইডি-র বক্তব্য, তিনি মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডে বিনিয়োগের জন্য মধ্যস্থতা করেন, শেয়ার প্রিমিয়াম বাবদ আগাম ৯০ লক্ষ টাকাও দেন জৈন ভাইদের। তাঁরা যেসব ফার্ম সামলাতেন, সেগুলিরই একটি মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড। অতীতে মিসা, তাঁর স্বামী এই ফার্মের ডিরেক্টর ছিলেন বলে অভিযোগ।

ইডি জানিয়েছে, মিসা, তাঁর স্বামী শেয়ার কেনার আগে পর্যন্ত মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের দপ্তর ছিল নয়াদিল্লির ২৫ তুঘলক রোডে। ২০০৯-১০ বছরে ঠিকানা বদলে হয় ২৬ পালাম ফার্মস, ভিপিও বিজওয়াসান। সেসময় ডিরেক্টর ছিলেন ওই দুজন।