নয়াদিল্লি: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় অর্থপাচারের অভিযোগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বরও কার্তির এক আত্মীয়র বাড়ি সহ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে চিদম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) অনুমোদন, গুরুগ্রামে কার্তির একটি সম্পত্তি এক বহুজাতিক সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া এবং অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে। সেই কারণেই তল্লাশি চালানো হয়।


তল্লাশির সময় দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই ছিলেন চিদম্বরম। তিনি এই তল্লাশি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অর্থপাচার মামলায় ইডি-র তল্লাশি চালানোর কোনও এক্তিয়ারই নেই। ওঁরা (ইডি) তল্লাশিতে কিছু পাননি, কিন্তু নিজেদের এই কাজের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে হবে বলে কিছু নথি নিয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে সংসদে সরকার যে বিবৃতি দিয়েছিল, সেই কাগজ নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁরা দিল্লির জোরবাগে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন। তাঁরা আমাকে বলেছেন, ওই বাড়িটা কার্তির বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু আমি বলি, কার্তি চেন্নাইয়ে থাকে। আমি এই বাড়িতে থাকি। তল্লাশির পরোয়ানা থাকায় আমি আপত্তি জানাইনি। তবে যে অপরাধের কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে সিবিআই, পুলিশ বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা এফআইআর করেনি। তাই এই তল্লাশির প্রতিবাদ জানাব।’

চিদম্বরম আরও বলেছেন, ‘গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আমার ছেলে কার্তি চিদম্বরমের দায়ের করা মামলায় নোটিস দিয়েছে। যাঁরা এই মামলাগুলির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা চাইলে জবাব দিতে পারেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৩০ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে। আমার গতকালই মনে হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দেওয়ার পর কিছু বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইডি-কে নাটক করতে হবে। আমার অনুমান সত্যি হল।’

কংগ্রেসও এই তল্লাশি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে এই বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিহিংসায় আমরা মোটেই অবাক হইনি। বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য প্রতিদিনই হাতের পুতুল হিসেবে ইডি ও সিবিআই-কে ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।’