নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্যের পাসপোর্ট বাতিল করা হোক। আইডিবিআই-এর ৯০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি মামলায় কিংফিশার কর্ণধারের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

১৯৬৭-র পাসপোর্ট আইনে মাল্যের  বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা। আর্থিক জালিয়াতি রোধ আইনে রুজু হওয়া মামলার তদন্তে তাদের অফিসারদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন, এই অভিযোগে মাল্যের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট শাখাকে (আরপিও) নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেছে তদন্ত সংস্থাটি। ফলে বিপাকে পড়া মাল্যের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার সুবাদে পাওয়া কূটনৈতিক  পাসপোর্ট ব্যবহার করেই মাল্য গত ২ মার্চ দেশ ছেড়ে ব্রিটেন চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

ই ডি সূত্রে বলা হচ্ছে, তারা বিদেশমন্ত্রককে এও জানিয়েছে যে, মাল্যের সঙ্গে এ পর্যন্ত সহযোগিতাই করা হয়েছে। তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরার জন্য তিন-তিনবার নতুন দিন  ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার বিনিময়ে তাঁর তরফ থেকে শুধু অসহযোগিতাই পেয়েছেন। ফলে তদন্ত এগনোর প্রক্রিয়া মার খেয়েছে।

পাসপোর্ট আইনের আওতায় কূটনৈতিক পাসপোর্টের জোরে কেউ নিয়মিত বিদেশ সফরে যেতে পারেন। কিন্তু পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন এলে তাঁর বিদেশ সফরও খারিজ হয়ে যাবে। ইডি সূত্রের দাবি, তাদের আবেদন মঞ্জুর হলে  ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে সে কথা জানিয়ে মাল্যকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলবে বিদেশ মন্ত্রক।

মাল্যের পাসপোর্ট বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা জারির আবেদন করার রাস্তাও খোলা থাকবে ইডি-র কাছে।  মাল্যের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করে তাকে বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে ধরার জন্য ইন্টারপোলকেও বলতে পারবে ইডি।