মুম্বই: ঢাকা সন্ত্রাসের ঘটনায় তাঁর নাম সামনে আসার পর থেকেই দেশে ফেরেননি জাকির নায়েক। জানিয়েছিলেন, টাকা পাচারের একটি মামলায় ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তদন্তকারী সংস্থার সামনে রাখবেন তিনি। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইঙ্গিত দিল, সেই সুযোগ তারা বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েককে দেবে না।


ইডি আধিকারিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, অর্থপাচার বিরোধী আইন বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে অভিযুক্তকে এভাবে ভিডিওর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া যায় না। তাঁকে সশরীরে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে হবে।

তা ছাড়া জাকিরের বিরুদ্ধে যে সব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁকে মুখোমুখি জেরা করা জরুরি। এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি সমন জারি করেছে ইডি। এবার চেষ্টা চলছে জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার।

কিন্তু জাকির নায়েকের দাবি, ভারতের পরিস্থিতি তাঁর পক্ষে এই মুহূর্তে প্রচণ্ড প্রতিকূল, এই অবস্থায় ন্যায় বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করছেন না। ইডি-র সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে আরও কয়েক মাস লাগবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বুধবার নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে জাকির জানান, স্কাইপে বা অন্য কোনও মাধ্যমে তিনি ইডি-র সামনে বক্তব্য পেশে আগ্রহী। কিন্তু আপাতত দেশে ফিরবেন না। তার কারণ, তিনি অনাবাসী ভারতীয়, কোনও সমনও হাতে আসেনি তাঁর। যদিও একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এ মাসের ২ তারিখ তাঁর ভাইয়ের হাতে ইডি-র সমন পৌঁছেছে, তাত বলা হয়েছে ৯ তারিখ জাকিরকে ইডি-র সামনে আসতে হবে। কিন্তু ভাইয়ের কাছে পাঠানো ওই সমন ঠিক গ্রহণযোগ্য নয় বলে তাঁর দাবি।

এছাড়া জাকিরের অধুনা নিষিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বা আইআরএফ-এর ব্যাপারে আপাতত কোনও প্রশ্ন না করার জন্য ইডি-কে অনুরোধ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ ট্রাইবুন্যালে আইআরএফ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে শুনানি চলছে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ স্থগিত রাখা হোক। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগে আইআরএফ-কে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।