বেঙ্গালুরু:  উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার ডি রূপা যিনি এআইএডিএমকে নেত্রী ভি.কে শশীকলাকে দু কোটির বিনিময়ে জেলে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁকে আগেই তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই পুলিশ আধিকারিককেই ক্ষমা চাইতে বলা হল, এবং সেই বিবৃতি আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিটি সংবাদপত্রে পাঠিয়ে দিতে হবে, জানিয়েছেন কর্ণাটক ডিজিপি এইচ.এন সত্যনারায়ণ রাও। কিন্তু তিনি যদি এই নোটিস না মানেন, তাহলে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ার সামনে পড়তে হবে। এমনকি ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।


প্রসঙ্গত, ডি রূপা অভিযোগ এনেছিলেন, দু কোটি টাকা জেলের ভেতর লেনদেন হয়েছে শশীকলাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যে। এরপর রূপাকে কারা দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, পুলিশ আধিকারিক নিজের সিদ্ধান্তে অনড়ই থাকেন। তারপরই কর্ণাটকের ডিজিপি জানতে চান, তিনি সারা জেলের ভেতরের ছবি তুলেছেন, তাহলে সেই বিশেষ রান্নাঘরের ছবি কেন তোলেননি?  আসলে এমন কোনও বিলাসবহুল রান্নাঘর ছিলই না, পুরোটাই মিথ্যা। এমনকি দু কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় কর্ণাটকের ডিজিপির নামও জড়িয়েছে। এধরনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনায় তিনি যে মারাত্মক ক্ষুব্ধ সেকথাও বলেছেন রাও। অতএব এপ্রসঙ্গে তিনিও শেষ দেখেই তবে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন।