মুম্বই: স্বামী মারা গিয়েছেন প্রায় ৩০ বছর। একমাত্র ছেলেও চলে গিয়েছে পথ দুর্ঘটনায়। পুত্রবধূ দায়িত্ব নিতে চাননি। এক হাসপাতাল ঝাঁটপাট দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন ৬৫ বছরের লতা শিবরাজ সিংহ পরদেশী। থাকতেনও সেখানেই। মাথার ওপর সেই ছাদটুকুও আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছে।

মুম্বইয়ের মইলি এলাকার চাচাড় হাসপাতালে ঝাড়ুদারের কাজ করতেন লতা। হাসপাতালেই খাওয়াদাওয়া করতেন, রাতে থাকতেন। কিন্তু বেআইনি দখল সরাতে গিয়ে পুরসভা হাসপাতালটিই ভেঙে দেয়। রাস্তায় এসে দাঁড়ান লতা। এই পরিস্থিতিতে উপায়ান্তর না দেখে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

দিনতিনেক আগে সোজা নিজের পুঁটলি নিয়ে স্থানীয় সাকিনাকা পুলিশ স্টেশনে হাজির হন ওই প্রৌঢ়া। বলে, তাঁর থাকার ব্যবস্থা নেই, থানার বাবুদেরই যা করার করতে হবে। তাঁর কথা শুনে এগিয়ে আসেন ৩২ বছরের পিএসআই নীলেশ ভালেরাও। ২৫০-র কাছাকাছি পুলিশকর্মীর থেকে লতার জন্য চাঁদা তোলেন তিনি, জোগাড় হয় ২৫,০০০-এর বেশি টাকা।

[embed]https://twitter.com/MumbaiPolice/status/996976411457019904[/embed]

লতার থাকারও ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। কারজাত এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে তাঁর। এবার পুলিশ ঠিক করেছে, লতার নামে তারা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেবে, যাতে অন্যান্য আগ্রহীরাও সাহায্য করতে পারেন তাঁকে।