নয়াদিল্লি:  উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গঠনের আলোচনা আসন সংখ্যা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এক সময় প্রায় ভেঙে যেতে বসেছিল। শেষপর্যন্ত সমঝোতা চূড়ান্ত হয় যে, সপা ২৯৮ আসনে এবং কংগ্রেস ১০৫ আসনে প্রার্থী দেবে। আর এই সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। আর এই ঘটনায় প্রিয়ঙ্কা বঢরার পুরদস্তুর রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা ফের জোরাল হল।

বিভিন্ন প্রথমসারির কংগ্রেস নেতারাই অখিলেশ যাদবের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গঠনের ক্ষেত্রে সনিয়ার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ এবং উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমমেদ পটেলও সপার সঙ্গে জোট চূড়ান্ত রূপদানের ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন।

এমনও শোনা গিয়েছে, সপা-র সঙ্গে জোট আলোচনায় কংগ্রেস প্রশান্ত কিশোরের মতো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এ ধরনের কম গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আলোচনায় এগিয়ে দেওয়াটাও জোট আলোচনায় জটিলতা তৈরি করেছিল । যদিও কংগ্রেস কম গুরুত্বপূর্ণ কাউকে এগিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছে, এক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীই আলোচনায় চালিয়ে গিয়েছেন।

দলনেত্রী সনিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আদমেদ পটেল বলেছেন, কংগ্রেস ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়েই আলোচনা হয়েছিল।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ভোটে রাজ্যজুড়ে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে প্রচার চালাবেন প্রিয়ঙ্কা। এছাড়াও তিনি পৃথকভাবে প্রচার করবেন। অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদবের সঙ্গেও প্রচার করতে পারেন প্রিয়ঙ্কা।

কংগ্রেস দলের শীর্ষস্তরে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা নিয়ে স্বীকারোক্তি তাঁর রাজনীতিতে সরাসরি চলে আসার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।