ইলুরু: অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪ জন। যার ফলে অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৬১১ তে। এর মাঝেই সামনে উঠে আসছে মারাত্মক এক আশঙ্কা। করোনা দূরীকরণের জন্য যে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলে, সেখান থেকেই কি জীবাণুনাশক জলে মিশে সংক্রামিত হয়ে গিয়েছিল মানবদেহে!


চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে হঠাৎই অজানা রোগের প্রাদুর্ভাবে ত্রস্ত, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ইলুরু এলাকা। বমি, মাথা ঘোরা, কাঁপুনির মতো একাধিক একইরকম উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। একইসঙ্গে অনেকে একইরকম সমস্যায় অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালগুলি জুড়ে পড়ে যায় ত্রাহি ত্রাহি রব। যে ঘটনায় একজনেরই মৃত্যু হলেও অনেকেই এখনও ভুগছেন বিভিন্ন উপসর্গে।

কী থেকে এই রোগের প্রার্দুভাব তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রোগীদের রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, জলবাহিত হয়ে তাদের শরীরে ক্ষতিকারক এমন কিছু প্রবেশ করেছিল, যার জেরেই ঘটে বিপত্তি। ওই অঞ্চলের জলে অনেক বেশি পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার, ক্লোরিন মিশে ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

অন্ধ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কৃষ্ণ শ্রীনিবাসও যে আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি। করোনার স্যানিটাইজেশনের কাজের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় ব্লিচিং পাউচার ও ক্লোরিন ব্যবহার করার ফলে তা কোনওভাবে জলে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তিনি। এছাড়া যদিও মাটি থেকে কোনও ধাতব পদার্থ বা খনিজ জলে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এইমসের পরামর্শের ভিত্তিতে জলবাহিত রোগের ইঙ্গিত পেয়ে জলের পরীক্ষা করে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। যেখানে জলে স্বাভাবিক মাত্রার থেকে প্রায় হাজার গুণ বেশি সীসা, নিকেল পাওয়া যায়। শহরাঞ্চলের লাগোয়া যে অংশে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল, সেখানে দেওয়া হয়ে থাকে স্থানীয় পুরসভার জল। কিন্তু জল দূষিত জানার পরই যে জল বন্ধ করে স্থানীয়দের মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ করছে তারা।