সেই ফোরামের এক প্রতিনিধি বলেন, হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়। সেখানে কীভাবে কেউ আশা করতে পারে প্রত্যেকটা মানুষ একইভাবে, একই রকম স্বভাবের দাস হবে। বাঁ হাতি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ বিসনোইয়ের দাবি গবেষণা প্রমাণ করেছে, একজন ডানহাতির তুলনায় বাঁ হাতিরা অনেক বেশি বুদ্ধিমান এবং সৃষ্টিশীল। অথচ এই সমাজই একজন বাঁ হাতি মানুষকে খারাপ নজরে দেখে। কোনও বাবা-মা যদি তাঁদের বাঁহাতি সন্তানকে বাধ্য করেন ডান হাতে লিখতে, তাহলে তাঁরা আসলে তাঁদের সন্তানের ক্ষতিই করছে। প্রত্যেকেরই ভগবান দত্ত কিছু ক্ষমতা থাকে। বাঁ হাতি হওয়াটা তারই একটা অংশমাত্র। এমনকি বাঁ হাতে সিঁদুর পরা বা প্রসাদ নেওয়াতেও আপত্তি আছে এই সমাজের। অথচ এটা ভীষণই স্বাভাবিক, এরমধ্যে কুসংস্কারের কিছু নেই।
বিশ্বের বহু বিশিষ্ট খ্যাতনামা মানুষই বাঁ হাতি। মহাত্মা গাঁধী, অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর, বারাক ওবামা। তাই বাঁ হাতিদের আজ তাচ্ছিল্য নয়, সম্মান করতে হবে।