নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসজনিত সংকটের মোকাবিলায় গতকালই জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই প্যাকেজ কীভাবে ও কোন কোন খাতে বরাদ্দ হবে তা জানাবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেইমতো অর্থমন্ত্রী পরপর তিনদিন সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়। আজ প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে লকডাউনের জেরে আর্থিক সংকট জর্জরিত কোম্পানি ও কর্মীদের সুরাহা দিতে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে,বেসরকারী কর্মীদের চাকরিদাতা কোম্পানি আগামী তিনমাস ১২ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ এপিএফ দিতে পারবে। বেসরকারি কর্মীর বেতন থেকেও ১২ শতাংশ নয়, ৩ মাস ধরে ১০শতাংশ ইপিএফ কাটা হবে। এর ফলে হাতে বেশি বেতন পাবেন ইপিএফ গ্রাহকরা। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পিএফ কাটা হবে।


১০০-র কম কর্মী রয়েছে এমন সংস্থার ১৫ হাজার টাকার থেকে কম বেতনের কর্মীর ইপিএফ আগামী ৩ মাস দেবে সরকার।
অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ১৫ হাজার টাকার কম বেতনের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ করে কর্মী ও চাকরিদাতা সংস্থার ইপিএফের অংশ তিন মাসের জন্য সরকারের দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন তা বাড়িয়ে জুন, জুলাই, আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

এরফলে এমন ৩,৬৭,০০০ সংস্থা ও ৭২,২২,০০০ কর্মী উপকৃত হবেন। এতে সবমিলিয়ে ২৫০০ কোটি টাকার লাভ পাওয়া যাবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বেতনভূক কর্মীদের হাতে টাকা বেশি আসবে। সেইসঙ্গে পিএফ দেওয়ার ক্ষেত্রে চাকরিদাতা সংস্থার সুবিধা হবে।