নয়াদিল্লি: মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে আবার কোপ!গত অর্থবর্ষের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার আরও কমিয়েছে ইপিএফও। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় জানিয়েছেন,  ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজেশন।

একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রককেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমাতে বলছিল। যদিও, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়র দাবি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইপিএফও-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিস বা সিবিটি-র ডিসেম্বরের বৈঠকে। শ্রমমন্ত্রক এনিয়ে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করছে।

নিয়ম অনুযায়ী, সিবিটি-র যে সুদের হার প্রস্তাব করে, তা ইপিএফও-র নিজস্ব আয় থেকে মেটানো সম্ভব কিনা দেখে তাদের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

সুদের হার কমানোয় যেখানে হাতে থাকবে বাড়তি ১৫৮ কোটি টাকা, সেখানে ইপিএফও-র এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র দেওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তবে সাধারণ মধ্যবিত্তদের কপালে এখন থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। কারণ, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমেই চলেছে।

গত বছর ৮.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৮.৭ শতাংশ।

এবার সুদের হার আরও কমিয়ে ৮.৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও।

তবে ইপিএফও-র তরফে চাকরিজীবীদের জন্য কিছু নতুন সুযোগ-সবিধার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।যেমন,

৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক মূল বেতন পান, এমন কেউ টানা ২০ বছর প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখলে অবসরের সময় তিনি লয়্যালটি-কাম-বেনিফিট  হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পাবেন।

৫০০১ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক মূল বেতনভুকরা পাবেন ৪০ হাজার টাকা।

আর মাসিক মূল বেতন দশ হাজার টাকা বেশি হলে লয়্যালটি-কাম-বেনিফিট  হিসেবে মিলবে ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়া এমপ্লয়িস ডিপোজিট লিঙ্কড ইনসিওরেন্সেও কিছু সংশোধনের সুপারিশ করেছে ইপিএফও-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি সিবিটি। তাদের প্রস্তাব,

কর্মরত অবস্থায় কোনও গ্রাহকের মৃত্যু হলে তার পরিবার আড়াই লক্ষ টাকা পাবে। তেমনিভাবে কর্মরত অবস্থায় কোনও গ্রাহক পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে গেলেও তিনি ওই পরিমাণ টাকা পাবেন।

কেন্দ্র ছাড়পত্র দিলে তবেই এই প্রস্তাবগুলি কার্যকর হবে।