নয়াদিল্লি: পরতে পরতে খুলছে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি চক্র। হাতেনাতে ধরা পড়া পাক চর মেহমুদ আখতারের স্বীকারোক্তির পর গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে দেখছেন, দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত টপ সিক্রেট তথ্য পাকিস্তানের হাতে চালান করে দিতে সত্যিই সক্রিয় গুপ্তচর চক্র। শনিবার এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ মুনাব্বর সালিমের পার্সোলান অ্যাসিস্ট্যান্ট ফারহাতকে। দিল্লি অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছে তাকে। কীভাবে সে চরবৃত্তিতে যুক্ত ছিল, তা এখনও জানায়নি পুলিশ।

চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার শোয়েব হাসানকে দিল্লির আদালত ১১দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে মৌলানা রমজান খান ও সুভাষ জাঙ্গিরকে। ১২দিনের বেশি ধরে এদের জেরা করবে পুলিশ।

আইএসআই-এর হয়ে কাজ করা সত্ত্বেও পাক হাই কমিশন কর্মী হওয়ায় কূটনৈতিক রক্ষাকবচের সুবাদে মেহমুদ আখতারকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে তার আগে জেরায় আরও ১৪জন গুপ্তচরের নাম তার কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়েছে। সে জানিয়েছে, কীভাবে সেনা ও আধাসেনার মোতায়েন সংক্রান্ত গোপন ফাইল পাকিস্তানে পাচার করা হয়।

এই চরচক্রে মহিলাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। হানিট্র্যাপ হিসেবে এদের ব্যবহার করে সরকারি আধিকারিক ও অন্যান্যদের কাছ থেকে বার করা হয় গোপন তথ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, এই চরেরা সীমান্ত এলাকা সহ উত্তর পশ্চিম ভারতে শক্তপোক্ত ঘাঁটি গড়ার ছক কষেছিল। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় সেনার ঘোরাফেরা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজে নাগাল পেত তারা।