লখনউ: দশ মাসের এক শিশুকে সময়মতোই তার বাবা-মা নিয়ে গিয়েছিল লখনউ থেকে ১৩০ কিমি দূরত্বে বাহরাইচের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে। কিন্তু হাসপাতালের প্রতিটা কর্মী নার্স থেকে শুরু করে জমাদার, এমনকি কম্পাউন্ডারও কোনওরকম পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে ঘুষ ছাড়া। অবশেষে সঠিক সময় চিকিৎসার অভাবে প্রাণ গেল ছোট্ট শিশুর। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আপাতত সেই নার্স, জমাদার ও কম্পাউন্ডারকে সাময়িকভাবে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। সুমিতা এবং শিব দত্ত জ্বরে আক্রান্ত তাঁদের দশ মাসের শিশু সন্তানকে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে এসেছিলেন বাহরাইচের সরকারি হাসপাতালে। শিশুটির মা-বাবার অভিযোগ প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করতে টাকা চেয়েছিল অভিযুক্ত নার্স। তারপর হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে শিশুবিভাগে বিছানা দিতে রাজি হয় সেখনাকার জমাদার।
তারপর মঙ্গলবার সকালে মূল চিকিৎসকের এক সহকারী শিশুটিকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঞ্জেকশন দিতে অস্বীকার করে। তার দাবি ছিল, টাকা ছাড়া সে ইঞ্জেকশন দেবে না। সুমিতার দাবি, তিনি কম্পাউন্ডারকে বলেছিলেন, ইঞ্জেকশনটা দিয়ে দিতে। তার সঙ্গে তাঁদের একটু সময় দিতে। তাঁরা ওই ব্যক্তির দাবি মতো অর্থ জোগাড় করে এনে দেবেন। তারপর দীর্ঘ বাদানুবাদের পর কম্পাউন্ডার শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দিলেও, তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সুমিতা এবং শিব দত্তের অভিযোগ, তাঁদের থেকে ওই হাসপাতালের প্রতিটা ব্যক্তি সামান্য পরিষেবার বিনিময় বারংবার টাকা চেয়েছে। শুধু সেখানকার ডাক্তারেরা চায়নি। প্রথমে ওই সরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও, পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু নির্দেশ দেয়।
১০ মাসের শিশুর চিকিৎসায় ঘুষ চেয়েছিল হাসপাতাল, সময়মতো ইঞ্জেকশন না দেওয়ায় মৃত্যু
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
11 Aug 2016 07:11 AM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -