নয়াদিল্লি: তিন বছরের জেল হল মাধুরী গুপ্তার, যাঁকে গতকালই আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি, জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করায়। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে থাকাকালে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের দুই চরের সঙ্গে যোগাযোগ হয় কূটনীতিক মাধুরীর। ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠার পর তাদের ই মেলে, আরও নানা ভাবে সেনার নানা তথ্য পাচার করেছেন তিনি, এই অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আইএসআইকে ভারত সম্পর্কে নানা গোপন, গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার ও জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আপস করায় দোষী সাব্যস্ত হন ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে এক সময় কাজ করা মাধুরী। আদালতের অভিমত, তাঁর কার্যকলাপে দেশের নিরাপত্তা বিপন্ন হতে বসেছিল।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সিদ্ধার্থ শর্মা তাঁকে চরবৃত্তি, আইনে সুরক্ষিত তথ্য, নথি বেআইনি পাচারের জন্য সর্বোচ্চ সাজা অর্থাত তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
যদিও সাজা ঘোষণা করেও আদালত ৬১ বছর বয়সি মাধুরীকে জামিন দিয়েছে যাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া গতকালের রায় ও আজকের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন।
তিনি বরিষ্ঠ নাগরিক, তাঁর বয়স হয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মাধুরী, নিজেকে পরিস্থিতির শিকার বলেও সওয়াল করেন। কিন্তু সরকারি কৌঁসুলি ইরফান আহমেদ পাল্টা বলেন, তিনি একজন শিক্ষিত মহিলা, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাঁর মতো জায়গায় থাকা একজনের কাছে এমন কাজ প্রত্যাশিত নয়। তিনি নিজের কাজের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন বলেও দাবি করেন সরকারি কৌঁসুলি। আদালতও বলে, আধুনিক শিক্ষা পাওয়া মাধুরী বিভিন্ন দূতাবাসে কাজ করেছেন, অপরাধের সময় তিনি হাই কমিশনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি একজন সাধারণ নাগরিকের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করবেন, এটাই তাঁর মতো একজনের কাছে আশা করা যায়। কিন্তু তাঁর কাজে দেশের ইমেজের ক্ষতি হয়েছে। তাই কোনও লঘু সাজা তিনি আশা করতে পারেন না।