নয়াদিল্লি: বেতন সহ অন্যান্য ভাতা তুলতে পারবেন না রাজ্যসভা থেকে ডিসকোয়ালিফাই হওয়া সাংসদ শরদ যাদব। তবে, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাখতে পারবেন সরকারি বাসভবন। এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিহবার, বিচারপতি এ কে গোয়েল ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ভেকেশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যতদিন না তাঁর দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন তিনি কোনও বেতন, ভাতা বা সাংসদদের জন্য নির্দিষ্ট অন্যান্য সহায়ক খরচ বাবত প্রাপ্ত অর্থ তুলতে পারবেন না। তবে, সরকারি বাংলো রাখতে পারেন।
এর আগে, দিল্লি হাইকোর্ট এক অন্তর্বর্তী রায়ে জানিয়েছিল, প্রাক্তন জেডিইউ সভাপতি বেতন সহ সব ধরনের বরাদ্দ অর্থ পাবেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন জেডিইউ-এর রাজ্যসভা সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ। তারই প্রেক্ষিতে এদিন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গতবছর জুলাই মাসে, আরজেডি ও কংগ্রেসের ‘মহাজোট’ থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিহারে সরকার গঠন করে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন শরদ। এমনকী, বিহারে বিরোধী-বৈঠকে যোগ দেন।
এই প্রেক্ষিতে, দল থেকে বরখাস্ত হন শরদ যাদব। এরপরই, রাজ্যসভা থেকে শরদ যাদবকে ডিসকোয়ালিফাই করার দাবি চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করে দল। একই অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাংসদ আনোয়ার আলির বিরুদ্ধে।
দলের দাবি মেনে গত বছর ডিসেম্বর মাসে দলত্যাগ আইন অনুযায়ী, রাজ্যসভা থেকে শরদ যাদব ও আনোয়ার আলিকে ডিসকোয়ালিফাই করেন উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শরদ যাদব। দাবি করেন, নিজের বক্তব্য পেশ করার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁক। যদিও, উচ্চ আদালত, স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। অন্তর্বর্তী রায়ে জানিয়ে দেয়, যতদিন মামলা চলবে, ততদিন বেতন সহ সবধরনের ভাতার সুযোগ পাবেন শরদ।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় দল। এদিন তারই শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উচ্চ আদালতের রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করে, কীকরে উচ্চ আদালত তাঁর (শরদ যাদব) বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে?
এরপরই, হাইকোর্টের রায়কে সংশোধন করে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, শরদ যাদব বেতন সহ সাংসদ থাকাকালীন তাঁর প্রাপ্য কোনও আর্থিক ভাতা পাবেন না। তবে সরকারি বাসভবন রাখতে পারেন। প্রসঙ্গত, আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল শরদ যাদবের।