নয়াদিল্লি: ভিন ধর্মে প্রেমের ‘অপরাধে’ দিল্লির রাস্তায় খুন হয়ে যাওয়া অঙ্কিত সাক্সেনাকে গাড়ি থেকে টেনে বার করতে রীতিমত ছক কষেছিল তাঁর প্রেমিকার পরিবার। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এ জন্য একটি ছোট্ট দুর্ঘটনাও সাজিয়ে তোলে তারা।


পাপ্পু নামে স্থানীয় এক দোকানদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় অফিস সেরে পশ্চিম দিল্লির রঘুবীর নগরে গাড়ি করে ফিরছিলেন ২৩ বছরের ফটোগ্রাফার অঙ্কিত। তখন তাঁর প্রেমিকার মা হেলমেটে মুখ ঢেকে স্কুটারে করে এসে তাঁর গাড়িতে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা দেয়, তারপর চেঁচামেচি শুরু করে। গাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অঙ্কিত। তখনই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েটির পরিবার।

পুলিশ জানাচ্ছে, অঙ্কিতের ওপর হামলার আগে তাঁর প্রেমিকা বাবা মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান, বলেন, অঙ্কিতের কাছে চলে যাচ্ছেন তিনি। এরপরেই ওই পরিবার অঙ্কিতের ওপর প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর হয়। অঙ্কিত গাড়ি থেকে বার হতেই মেয়েটির মা হেলমেট খুলে ফেলে, হাজির হয় অন্য আত্মীয়রাও। মেয়ে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় অঙ্কিতকে দোষ দিতে থাকে তারা।  শুরু হয় প্রচণ্ড মারধর।

এ সময় রাস্তায় ভিড় জমে যায় কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি। তবে খবর যায় অঙ্কিতের বাড়িতে। তাঁর মা ছুটে এলে প্রেমিকার মা তাঁকে মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। অঙ্কিত ছুটে গিয়ে নীচু হয়ে মাকে তুলতে যান। তখন প্রেমিকার কাকা ও দাদা তাঁর চুল ধরে টেনে তুলে হাত চেপে ধরে আর বাবা গলায় কুকরি চালিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, সেই অবস্থাতেও কারও সাহায্য ছাড়া কয়েক মিটার হেঁটে যান অঙ্কিত। ৩-৪ মিনিট দাঁড়িয়েও ছিলেন। নিজের গাড়ির দিকেও এগোন। তারপরেই রাস্তায় পড়ে যান। তখনও পুলিশের খোঁজ করছিলেন তিনি।

এ সময় কেউ একজন পুলিশে খবর দেয় কিন্তু অঙ্কিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে তারা।
অঙ্কিতের বাবা মাও অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ১৫-২০ মিনিট ধরে টোটো ও অটো রিকশা থামাতে চেষ্টা করেন কিন্তু কেউ তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল অঙ্কিতের পরিবারকে সবরকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার পুরোপুরি চেষ্টা করবেন তাঁরা।

[embed]https://twitter.com/ArvindKejriwal/status/960079486506151936?ref_src=twsrc%5Etfw&ref_url=http%3A%2F%2Fabpnews.abplive.in%2Findia-news%2Fankit-saxena-murder-tension-prevails-in-delhis-khyala-area-kejriwal-will-meet-ankits-family-785458[/embed]