নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত জাল নথি দাখিল করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেল। ১৫ সেপ্টেম্বর জানা যাবে, স্মৃতিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে কি না।

 

আহমের খান নামে এক ফ্রিল্যান্স লেখক এই মামলা দায়ের করেন। নির্বাচন কমিশন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক আদালতে হাজির হয়ে জানান, স্মৃতি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার যে নথি জমা দিয়েছিলেন, তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সেই নথি রয়েছে।

 

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, স্মৃতির ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি হারিয়ে গিয়েছে। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৯৬ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রি পেয়েছেন। কিন্তু সেই নথি পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণেই সবপক্ষের বক্তব্য শুনে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রায় স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি হরবিন্দর সিংহ।

 

মামলাকারীর অভিযোগ, স্মৃতি ২০০৪, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ (ক) ধারায় তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।

 

আদালত সেই মামলা গ্রহণ করেছে। দোষী প্রমাণিত হলে স্মৃতির ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা বা দুটিই হতে পারে।