চন্ডীগড়: তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষক সমাজ। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই ওই আইনে স্থগিতাদেশ জারি করে পর্যালোচনার জন্য কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কৃষকদের দাবি, কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে,তারা সবাই কৃষি আইনের সমর্থক। তাই তারা কমিটির সামনে যাবে না। কিন্তু আইনগুলির বিরুদ্ধে হরিয়ানায় এতটাই অসন্তোষ ছড়িয়েছে যে, কৃষকরা নিশানা করেছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি-জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) জোটকে। দিনকয়েক আগে কার্নালের কাছে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতে তার প্রমাণ মিলেছে। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার এসে পৌঁছনোর প্রাক্কালেই কৃষকরা সেখানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়, যার জেরে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটাই বানচাল হয়ে যায়। তিনটি কৃষি আইনের নানা ‘উপকার’, ‘সুবিধা’ কৃষকদের ব্যাখ্যা করে বোঝাতেই কিষাণ মহাপঞ্চায়েত বসানো হয়েছিল।
এবার হরিয়ানার ৬০টির ওপর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়ে দিলেন, তাঁদের এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বিজেপি ও জেজেপি নেতারা। গ্রামবাসীরা ও একাধিক খাপ পঞ্চায়েত কৃষি আইন সমর্থন করায় বিজেপি, জেজেপি নেতা, মন্ত্রীদের নিষিদ্ধ করা, বয়কটের ডাক দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শাসক শিবিরের নেতা, মন্ত্রীরা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। প্রবল চাপের মুখে আজই জেজেপি নেতা তথা রাজ্য়ের উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্য়ন্ত চৌতালার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখার করার কথা। কৃষক বিক্ষোভ মোকাবিলা নিয়েই তাঁদের আলোচনা হওয়ার কথা।
কয়েকজন জেজেপি বিধায়ককে আন্দোলনরত চাষিদের রোষের মুখে পড়তে হলেও চৌতালা ও খট্টার গতকাল জোর গলায় দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এমন দিকে মোড় নেবে না যেখানে বিজেপি-জেজেপি জোট সরকার বিপদের মুখে পড়বে।
যদিও গত ১০ জানুয়ারির কৃষক বিক্ষোভ মারাত্মক চেহারা নিয়েছিল। দলবদ্ধভাবে কৃষকরা নিরাপত্তার জন্য় অনুষ্ঠানমঞ্চের সামনে বসানো ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে মঞ্চের চেয়ার, টেবিল, ফুলদানি ভেঙে খানখান করে। তার আগে তারা কালো পতাকা নিয়ে কাইমলা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্য়াডও ভাঙচুর করে। পুলিশের তৈরি ৬টি চেকপয়েন্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে হেলিপ্যাডে চড়াও হয় তারা।