এবার হরিয়ানার ৬০টির ওপর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়ে দিলেন, তাঁদের এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বিজেপি ও জেজেপি নেতারা। গ্রামবাসীরা ও একাধিক খাপ পঞ্চায়েত কৃষি আইন সমর্থন করায় বিজেপি, জেজেপি নেতা, মন্ত্রীদের নিষিদ্ধ করা, বয়কটের ডাক দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শাসক শিবিরের নেতা, মন্ত্রীরা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। প্রবল চাপের মুখে আজই জেজেপি নেতা তথা রাজ্য়ের উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্য়ন্ত চৌতালার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখার করার কথা। কৃষক বিক্ষোভ মোকাবিলা নিয়েই তাঁদের আলোচনা হওয়ার কথা।
কয়েকজন জেজেপি বিধায়ককে আন্দোলনরত চাষিদের রোষের মুখে পড়তে হলেও চৌতালা ও খট্টার গতকাল জোর গলায় দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এমন দিকে মোড় নেবে না যেখানে বিজেপি-জেজেপি জোট সরকার বিপদের মুখে পড়বে।
যদিও গত ১০ জানুয়ারির কৃষক বিক্ষোভ মারাত্মক চেহারা নিয়েছিল। দলবদ্ধভাবে কৃষকরা নিরাপত্তার জন্য় অনুষ্ঠানমঞ্চের সামনে বসানো ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে মঞ্চের চেয়ার, টেবিল, ফুলদানি ভেঙে খানখান করে। তার আগে তারা কালো পতাকা নিয়ে কাইমলা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্য়াডও ভাঙচুর করে। পুলিশের তৈরি ৬টি চেকপয়েন্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে হেলিপ্যাডে চড়াও হয় তারা।