নয়াদিল্লি: এই মুহূর্তে কার্যকর হচ্ছে না তিন কৃষি আইন। পরবর্তী রায় না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এই তিন আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, দিল্লি সীমানায় এই আইনের বিরুদ্ধে যে কৃষক আন্দোলন চলছে তাতে ইতি টানার জন্য একটি কমিটি গঠন করছে তারা। তাতে বাদী ও বিবাদী- সব পক্ষকেই হাজিরা দিতে হবে।

এই তিন আইন হল Farmers (Empowerment & Protection) Agreement of Price Assurance & Farm Services Act 2020, Farmers Produce Trade & Commerce (Promotion & Facilitation) Act ও Amendment to Essential Commodities Act। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, কৃষকরা অনির্দিষ্টকাল ধরে দিল্লি সীমানায় ধর্নায় বসে থাকতে পারেন না। তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তাতে তাঁদের আসতে হবে। এর ফলে কেউ শাস্তি পাবেন এমন নয়, ওই কমিটি শুধু সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে।

বিক্ষোভরত কৃষকদের হয়ে তিন কৃষি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী এমএল শর্মা। তিনি বলেন, কৃষকরা আদালতের তৈরি কোনও কমিটির সামনে যাবেন না, তাঁদের বক্তব্য, বহু লোক তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসেননি। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, কৃষকরা ওই কমিটির সামনে না যেতে চাইলে চলবে না, সমস্যার সমাধান করতে হবে। এরপরেও যদি কৃষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালাতে চান, তা তাঁরা করতে পারেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, কৃষি আইন অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান বিরোধী, এর ফলে গোটা কৃষিব্যবস্থা কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। জবাবে কেন্দ্র বলে, সিংহভাগ কৃষকের এতে সমস্যা নেই, এই আইন সম্পূর্ণ সংবিধানসম্মত, সংসদের আওতায় থেকেই যা করার করা হয়েছে। কুড়ি বছর ধরে এই আইন প্রণয়ন নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে আর এখন কৃষকদের এ ব্যাপারে ভুল বোঝানো হচ্ছে। গতকালই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কৃষক আন্দোলন বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার যা পদক্ষেপ করেছে, তা যথেষ্ট নয়, দরকারে তারা আইন প্রণয়নে স্থগিতাদেশ দিতে পারে। আজ শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, কেন্দ্রের কাছে তথ্য আছে, কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানপন্থীরা ঢুকে পড়েছে, কানাডা থেকে পরিচালিত একটি নিষিদ্ধ সংগঠন টাকা ঢালছে এই আন্দোলনে। এ ব্যাপারে আদালতে এফিডেভিট ফাইল করা হবে বলে জানান তিনি।