নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লির বিভিন্ন সীমানা এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলন আজ ৬০ দিনে পড়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকরা আগে থেকেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলের ঘোষণা করেছেন। এবার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের মিছিলে বাধা দানের দাবি করা হল। কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাক্টর মিছিলের সময় চার কৃষক নেতা হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছে।
শুক্রবার সিংঘু সীমানায় কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা নয়। ওইউ ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। ওই ব্যক্তি দাবি করেন যে, ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলের সময় হিংসা ছড়ানো ও চার নেতাকে গুলি চালানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল।এই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত তিনিও।

ওই ব্যক্তি দাবি করেন, 'আমাদের পরিকল্পনা ছিল, কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল দিল্লির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে যখন পুলিশ বাধা দেবে, তখন আমরা পিছন থেকে ফায়ারিং করব, যাতে পুলিশের মনে হয়, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকেই গুলি চালানো হয়েছে'।
ওই ব্যক্তি আর বলেন, ' ঠিক হয়েছিল, মিছিলের সময় কিছু লোক পুলিশের উর্দিতে থাকবে, যাতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়'।


ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেছেন, মিছিলের সময় মঞ্চে থাকা চার কৃষক নেতাকে গুলি করারও নির্দেশ রয়েছে। ওই নেতাদের ছবিও তাঁদের দেওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, ওই ব্যক্তি প্রদীপ নামে এক এসএইচও-র নামও উল্লেখ করেছেন।
ওই ব্যক্তির দাবি, যে চার কৃষক নেতাকে গুলি করার নির্দেশ ছিল, তাঁদের নাম তাঁর জানা নেই।
আন্দোলনকারীরা এই ব্যক্তিকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের অচলাবস্থা জারি রয়েছে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি রোডম্যাপ পেশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিবেচনা করে রবিবার উত্তর দেওয়া হবে।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লির বাইরে মিছিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে যে, এই ট্রাক্টর মিছিল দিল্লির আউটার রিং রোডেই হবে। এই মিছিলের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা আসতে শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে দেড় বছর তিন কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকালের বৈঠকে অনড় ছিল সরকার। অন্যদিকে, এই প্রস্তাব খারিজ করে কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতেই অনড় আন্দোলনকারীরা।