মুম্বই: অধিগৃহীত জমির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ মাসের ২২ তারিখ মহারাষ্ট্র সচিবালয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক খাওয়া কৃষক ধর্ম পাতিলের (৮৪) মৃত্যু হল। রবিবার রাতে মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।


উত্তর মহারাষ্ট্রে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার জন্য রাজ্য সরকার ধর্মর জমি অধিগ্রহণ করে। তাঁর ছেলে নরেন্দ্র পাতিল দাবি করেছেন, পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করলেও, রাজ্য সরকার মাত্র চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়। গত তিন মাস ধরে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরকারি দফতরগুলিতে বারবার যাচ্ছিলেন ধর্ম। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন এই কৃষক।নরেন্দ্র আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের ১৫ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেই আর্থিক সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাজ্য সরকার তাঁর বাবাকে শহিদের মর্যাদা দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি এবং অধিগৃহীত জমির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁরা দেহ নেবেন না।

ধর্মর মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে বিরোধী কংগ্রেস ও এনসিপি। বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা ধনঞ্জয় মুন্ডে বলেছেন, ‘এই কৃষক সচিবালয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেও, সরকার ন্যায়বিচারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এই কৃষকের মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী।’

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল বলেছেন, ‘সরকারের উদাসীনতা এবং কৃষক-বিরোধী নীতির কারণেই এই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার কৃষক নিজেদের জীবন শেষ করে দিলেও, এখনও সরকারের ঘুম ভাঙেনি।’