কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে চড়তে থাকা পারদ আয়ত্তে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘কৃষকরা চাইলে সরকার ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসতে রাজি। আন্দোলনের জন্য কৃষকদের যে নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, তারা সেখানে পৌঁছলে পরের দিনই আলোচনায় বসবে কেন্দ্র।’
পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধির রাজ্যের হাজারো কৃষকরা কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দিল্লি চলো অভিযান চালাচ্ছেন। শনিবার তৃতীয় দিনে পা রেখেছে তাদের কর্মসূচি। আপাতত সিঙঘু ও তিকরি সীমান্তে তারা।
রবিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে আন্দোলনের পরের কর্মসূচি স্থির করবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে তাদের দিল্লির সন্ত নিরানকারী মাঠে গিয়ে বিক্ষোভের প্রস্তাব দিল্লি পুলিশ দিলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। এর মাঝেই উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাও যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। তারা পৌঁছে গিয়েছেন গাজিয়াবাদ সীমান্তে।
এদিনই নর্থান রেঞ্জের জয়েন্ট কমিশনার সুরেন্দর সিং জানান, উত্তর দিল্লি প্রস্তাবিতত মাঠটিতে পৌঁছে গিয়েছেন ৬০০ থেকে ৭০০ কৃষক। শুক্রবার কৃষকরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তাদের পড়তে হয়েছিল পুলিশি প্রতিরোধের সামনে। তাদের দিকে ধেয়ে এসেছিল জলকামান, কাঁদানে গ্যাস।
কৃষকদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করা তিনটি বিল তাদের স্বার্থবিরোধী। নূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ না করা আখেরে তাদের বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলোর মুখাপেক্ষী হয়ে পড়তে বাধ্য করবে বলেও অভিযোগ কৃষকদের।