নয়াদিল্লি: আন্দোলনকারী কৃষকদের আজ দিল্লি রোকো কর্মসূচি। সূত্রের খবর, রাজধানীর ৫টি রাস্তায় চাক্কা জ্যাম করা হতে পারে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার সিঙ্ঘুতে চলছে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ।

কৃষক আন্দোলনের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল গভীর রাতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। সরকার শর্তসাপেক্ষে যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল, তা মানতে নারাজ কৃষকরা। তবে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তোমর জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী, আন্দোলনকারী কৃষকরা আগামী ৩ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

হাজার হাজার কৃষক চারদিন ধরে সিঙ্ঘু ও টিকরি অঞ্চলে অবস্থান করছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাঁদের বুরারিতে সরে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে কৃষকরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির সভাপতি সুরজিৎ এস ফুল জানিয়েছেন, ‘আলোচনায় বসার জন্য শর্ত দেওয়া কৃষকদের অপমান। আমরা বুরারিতে যাব না। ওটা পার্ক না, খোলা কারাগার।'

অন্যদিকে যমুনা পাড়ের কৃষক বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে, প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে গঙ্গাপাড়েও। কৃষি বিলের বিরোধিতা ও দিল্লিতে কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রবিবার বিজেপির রাজ্য দফতর অভিযানের ডাক দেন কলকাতার শিখ সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের একাংশ। বিজেপির পার্টি অফিসে পৌঁছনোর আগেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।