নয়াদিল্লি: কনকনে ঠান্ডার মাঝে অঝোরে বৃষ্টি। একধাক্কায় ঠান্ডার রেশ যেন আরও জাঁকিয়ে বসেছে রাজধানী চত্বরে। দিল্লি সীমানায় অবশ্য কৃষক আন্দোলনের গনগনে আঁচ। কেন্দ্রের সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে কৃষকদের পরিকল্পনায় সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনের আঁচ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি।


সেই আঁচ স্তিমিত হবে না কি না, সেটা জানতেই গোটা দেশের নজর আজ ফের একবার দিল্লিতে। আজ দুপুর থেকে বিজ্ঞান ভবনে কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের অষ্টম দফার বৈঠক। আন্দোলনের ৪০তম দিনে এখনও পর্যন্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে আজই। কারণ আজকের আলোচনার ফলাফলের উপরই নির্ভর করবে কৃষকদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ। তারা আন্দোলনের রেশ একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজকের বৈঠকে তাদের দাবিমতো তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার ও নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা না বললে চরম পথ ধরবেন কৃষকরা। যা পরিকল্পনায় রয়েছে ১৩ জানুয়ারি লোহরির দিনে কৃষি আইনের কাগজ পোড়ানো। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে কিষাণ দিবস পালন এবং ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর মার্চ। যেমনটা জানিয়েছেন কৃষক নেতা মনজিৎ সিং রাই। তাঁর দাবি, কেন্দ্র দাবি মেনে নিলে তো আমাদের আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরিই। যে তালিকায় যোগ হয়েছে ৬ জানুয়ারিও ট্র্যাকর মার্চ করার পরিকল্পনা।

কয়েকদিন আগে ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্র-কৃষকদের বৈঠকে প্রথমবার অল্প হলেও বরফ গলার ইঙ্গিত দেখা গিয়েছিল। খোলামেলা পরিবেশে আলোচনার পর কৃষকদের আনা খাবারই খেয়ে দূরত্ব মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের দুটি দাবিও মেনে নেওয়া হয়।

বিদ্যুতের মাসুল প্রত্যাহার ও ফসলের গোড়া পোড়ানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের দুটি নিয়ম বাতিল করে নিয়েছেন কেন্দ্র। কিন্তু তিন কৃষি আইন বাতিল ও নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত না করলে কৃষকরা যে তাদের দাবি থেকে পিছপা হবেন না সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকায়েত বলেছেন, ‘সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। তাদের বুঝতে হবে আন্দোলনটা আপাতত হৃদয় দিয়ে চালাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি আইনগুলি বাতি ও এমএসপি নিশ্চিত করার নিয়ম লাগু না করলে যা থামবে না।’