নয়াদিল্লি : সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারের কর্মসূচী সম্পর্কে অভিহিত করতে আজ হল সর্বদলীয় বৈঠক। এই বৈঠকে উঠল চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিক্ষোভরত কৃষকরা যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন, সেগুলি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কৃষি আইন সম্পর্কে আন্দোলনকারী কৃষকদের যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল, তা এখনও বহাল রয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে দেড় বছর তিন বিতর্কিত কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি।
বাজেট অধিবেশন যাতে মসৃণভাবে চলে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী প্রথামাফিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর সর্বদাই আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। তিনি মাত্র একটি ফোন-কল দূরেই রয়েছে। চলতি মাসের গোড়ায় বৈঠকে এ কথা আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতাদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক বারই সাধারণ বাজেট পেশের আগে কেন্দ্র সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। সরকারের সংসদীয় কর্মসূচী রাজনৈতিক দলগুলির সমক্ষে পেশ করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য। বৈঠকে বিরোধী দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অধিবেশনে কী কী ইস্যু তারা উত্থাপন করতে চায়, সে কথা জানানো হয়।
কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিরোমণি অকালি দলের বলবিন্দর সিংহ ভান্ডার ও শিবসেনার বিনায়ক রাউত চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ বৈঠকে উত্থাপন করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে যে তাঁরা খুশি নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনার কথাই বললেন। অধীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বললেন যে, কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি একটি মাত্র ফোনের দূরত্বে রয়েছেন।
অধীরের অভিযোগ, অহং ও একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে সরকার এই ইস্যু এড়িয়ে চলতে চাইছে।

এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সমগ্র বিশ্বের প্রতি ভারত সুবিশাল অবদান রাখতে পারে। এতে উন্নয়ন হবে এবং এ ধরনের উন্নয়নে দরিদ্ররা লাভবান হবেন। এটা কোনও সরকারের কৃতিত্বের প্রশ্ন নয়, তা সমগ্র দেশের সাফল্য।