এলাহাবাদ: আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলায় আজ নির্ধারিত হওয়ার কথা আরুষির বাবা মা রাজেশ ও নুপূর তলোয়ারের ভাগ্য। মেয়ে আরুষি ও পরিচারক হেমরাজকে খুনের অপরাধে তাঁরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান তাঁরা।


২০০৮-এর ১৫ মে গভীর রাতে নয়ডায় নিজের শোয়ার ঘরে খুন হয়ে যায় ৮ দিন পর ১৪ বছরে পা রাখতে চলা আরুষি। মূল সন্দেহভাজন ছিল পরিচারক হেমরাজ, পরদিন ভোর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু দুদিন পর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় হেমরাজের রক্তাক্ত দেহ।

খুনের কিছুদিনের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে। পরিস্থিতি দেখে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী তদন্তের ভার সিবিআইকে দেন। কিন্তু তাতেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন আসেনি। সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে চিকিৎসক দম্পতি রাজেশ ও নুপূরের কমপাউন্ডার কৃষ্ণ ও প্রতিবেশীদের ২ কাজের লোক রাজকুমার আর বিজয় মণ্ডলকে। কিন্তু তাদের চার্জশিট দিতে না পারায় ছাড়া পেয়ে যায় ৩ জনই।

উল্টোদিকে সিবিআইয়েরই অন্য একটি তদন্তকারী দল অভিযোগের আঙুল তোলে আরুষির বাবা মায়ের দিকে। কিন্তু যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাতে না থাকায় আদালতে ক্লোজার রিপোর্ট দেয়। এই রিপোর্টের বিরোধিতা করেন তলোয়ার দম্পতি, বিরোধিতা করে গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালতও। ঘটনাস্থলে মেলা প্রমাণের ভিত্তিতে আরুষির বাবা মায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেয় তারা। আরুষি ও হেমরাজকে খুনের দায়ে ২০১৩-য় তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে তাঁরা গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে বন্দি।

এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরুষির বাবা মা। তাঁদের অভিযোগ, সিবিআই ভুল তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছে। এই মামলারই আজ রায়দান হতে পারে।