নয়াদিল্লি: অসুস্থ, মূমূর্ষু রোগীদের জন্য কিডনি দানের অঙ্গীকার করে মাদ্রাসার রোষে মুসলিম যুবক। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ওই মাদ্রাসা ফতোয়া জারি করেছে আরশাদ মনসুরি নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে, মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে বয়কট করার ডাক দিয়েছে।
মৃত্যুর পর কিডনি দানের অঙ্গীকারপত্রে সই করে মনসুরি বলেছেন, সমাজের কল্যাণেই অঙ্গ দানের শপথ নিয়েছি। মুসলিম সমাজের আরও অনেককে এমন পদক্ষেপ নিতে আবেদন করছি। শুনেছি যে, এজন্য আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছে। ফতোয়ার বক্তব্য, ইসলামে অঙ্গদানের অনুমোদন নেই।
মনসুরি অবশ্য ফতোয়াকে ভয় পাচ্ছেন না। যে কোনও ধর্মপালনের চেয়ে মানুষের সেবায় বেশি পূণ্য হয় বলে তাঁর অভিমত। তিনি বলেছেন, ফতোয়ায় আমায় সমাজে একঘরে করে দিতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি, এই মৌলবিরা জাল। মানবসেবাই সবচেয়ে বড় ধর্ম। বিভিন্ন অচেনা নম্বর থেকে ফোনে হুমকি পাচ্ছি, ধমক শুনছি। কানপুর পুলিশকে জানালেও কিছু করেনি তারা।
পাল্টা মৌলানা হানিফ বরকতি নামে স্থানীয় ধর্মগুরুর দাবি, মনসুরি মুসলিমদের বদনাম করতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, মনসুরি আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, অঙ্গদান সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী। আমি জবাবে জানাই, অঙ্গদান নিষিদ্ধ। কেউ আল্লাহর নির্দেশ না মানলে সত্যিই সে মুসলিম কিনা, সন্দেহ হয়। মনসুরি হয়তো প্রয়োজন বলে শুধু মুসলিম নামটাই রেখেছে, মুসলিমদের হেয় করতে চাইছে।