ইন্দোর: ফেসবুকে বন্ধুত্ব প্রতিবেশী দুই দেশের তরুণীর। কিন্তু শুধুই বন্ধুত্বে আটকে থাকল না দুজনের সম্পর্ক। ভারতীয় তরুণীর প্রেমে পাগল হয়ে এদেশেই চলে এসেছেন বাংলাদেশি প্রেমিকা। 'স্ত্রী'-র মতোই মনে করেন তাঁকে।
২০১২-এ ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় ঢাকার ধনী ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ-র মেয়ে জন্নাত-এর সঙ্গে ইন্দোরের বাসিন্দা নয়নার। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে দুই তরুণীর মধ্যে। নয়নার প্রেমে পাগল হয়ে ওঠেন জন্নাত। চলে আসেন এদেশে। নয়নার কাছাকাছি থাকার জন্য ২০১৩-এ ইন্দোরেই একটি স্থানীয় কলেজে বিবিএ কোর্সে ভর্তি হন। এর মধ্যে নয়নার বাড়িতে তাঁর বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। তাঁরা প্রথমে মেয়ের এই সমকামী প্রেমের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কিন্তু বিয়েতে বেঁকে বসেন নয়না। জন্নাতকে ছেড়ে কোথাও যেতে চান না তিনি। অবশেষে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে রাজি করানো হয়। বিনিময়ে একটা শর্ত দেন নয়না। বিয়ের পরও তাঁর কাছেই থাকতে দিতে হবে জন্নাতকে। মেয়ের শর্ত মেনে নেয় নয়নার পরিবার। তাঁরা ভাবেন, একবার বিয়ে হয়ে গেলে হয়তো আর জন্নাতকে নিয়ে সমস্যা হবে না। স্বামী-শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে গুছিয়ে থাকবেন নয়না। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে ফল হল বিপরীত। বিয়ের পরও সব খানে জন্নাতকে নিয়ে যেতে চান তিনি। এমনকী গোয়ায় হানিমুনেও জন্নাতকে নিয়ে যেতে চান নয়না। তাঁদের বিষয়টি জানাজানি হলে নয়নার স্বামী মহেশ তাঁকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন। কিন্তু কোনওভাবেই আলাদা করা যায়নি নয়না-জন্নাতকে। শেষ পর্যন্ত হানিমুনে যায় তিনজন। সেখানেই ঘরে মহেশকে আটকে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।
এই মুহূর্তে জন্নাতের মা-বাবার কাছে রয়েছেন নয়না। মহেশের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, নয়নাকে জন্নাত তাঁর স্ত্রীর মতোই দেখেন। এমনকী ফোনেও তাঁর নম্বর 'বউ' বলেই সেভ করা। ফোনে রয়েছে অনেক ঘনিষ্ঠ ভিডিও, ছবি। ওই দুই তরুণীর পরিবার তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
ফেসবুকে আলাপ, ইন্দোরের মেয়ের প্রেমে পাগল হয়ে এদেশে বাংলাদেশি তরুণী
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
24 Sep 2016 07:16 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -