আগ্রা: এ যেন ২০০৭-এ আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানশিক্ষিকা লিনা সিনহার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। এক গৃহশিক্ষিকা ও তাঁর বোনের বিরুদ্ধে গত নয় মাস ধরে ১৫ বছরের এক দশম শ্রেণীর পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রই।

ওই ছাত্রর দাবি, তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেলিং করে প্রায় এক বছর ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার কথা কাউকে বলে দিলে ওই ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রকে মুখবন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।

ওই ছাত্র জানিয়েছে, তারই এক সহপাঠী কাছারি ঘাট এলাকায় একজন ইংরেজির ভালো গৃহশিক্ষক রয়ছেন বলে খবর দেয়। প্রথম ছয়মাস ওই শিক্ষক তাকে পড়িয়েছিলেন।

এরপর থেকে ওই শিক্ষকের বোন তাকে পড়াতে শুরু করেন। তাঁর বয়স ২০-র কোটায়। একদিন তিনি ওই ছাত্রকে সিগারেট আনতে দেন। সিগারেট নিয়ে এলে ছাত্রের সামনেই ধূমপান করেন ওই শিক্ষিকা। সে কথা তাঁর দাদাকে বলে দেওয়ার কথা বললে শিক্ষিকা তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং এ কথা কাউকে না বলতে বলেন। এরপর শিক্ষিকা তাকে ধূমপান করতেও শেখান বলে অভিযোগ।

এরপর কয়েকবার ওই পড়ুয়া মদও নিয়ে আসতে বলেন ওই শিক্ষিরা। ছাত্রর সঙ্গে তিনিও মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ।  ওই ছাত্রের অভিযোগ, এরসঙ্গেই চলতে থাকে যৌননিগ্রহের ঘটনাও।

এরইমধ্যে ওই শিক্ষিকার বোন সবকিছু দেখে ফেলেন।এরপর তিনিও এতে সামিল হন।

শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রর কাছ থেকে দামী জিনিসপত্র ও টাকাপয়সাও দাবি করতে থাকেন তাঁরা। বাড়ি থেকে ওই সব জিনিসপত্র ও টাকাপয়সা তাকে আনতে বলা হত বলে অভিযোগ।

এসব জানতে পেরে ব্ল্যাকমেলিংয়ের কাজে যুক্ত হয় শিক্ষিকার দাদা অর্থাত ছাত্রটির আগের শিক্ষক। ওই ছাত্রের অভিযোগ, ওই ছাত্রকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলেন শিক্ষিকা ও তাঁর বোন। তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেন ওই দুজন। ছবি তোলেন তাদের দাদা।

নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেলিং আর সহ্য না করতে পেরে ছাত্রটি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।

পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। যদিও তাঁর দুই বোন ফেরার।