গত ৩০ জুলাই নিজের বাসভবনে মদ্যপ অবস্থায় মার্কিন মহিলা গবেষক ধর্ষণে দোষী ঘোষিত হন ফারুকি।
এর আগে সাজার শুনানির সময় দিল্লি পুলিশ বলেছিল, বিদেশিনীর সঙ্গে ফারুকি যে আচরণ করেছেন, তা দেশের মুখে কালি লেপে দিয়েছে। তাই তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই। ৪৪ বছরের চিত্র পরিচালকের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন, তাঁর মক্কেল বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। তাছাড়া তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতাও করেছেন। তাই তাঁকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত অবশ্যই। তবে ফারুকির চরম সাজা চেয়ে আবেদনকারিনীর কৌঁসুলি বৃন্দা গ্রোভার বলেন, বিদেশিনী মহিলা এ দেশে এসেছিলেন গবেষণার কাজে, কিন্তু তাঁকে সেই লোকটিই কিনা ধর্ষণ করল, যাকে তিনি চিনতেন, জানতেন, যে তাঁর বন্ধু ছিল, যাঁকে তিনি ভরসা করতেন!
ফারুকি জামিনে জেলের বাইরে ছিলেন। দোষী ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
অভিযোগকারিণী ইন ক্যামেরা শুনানির সময় দাবি করেছিলেন, ফারুকি তাঁকে ধর্ষণ করে পরে ক্ষমা চান, তাঁদের মধ্যে ই মেল চালাচালি হয়েছে। ফারুকি যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন।