নয়াদিল্লি: মার্কিন মহিলা গবেষক ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ‘পিপলি লাইভ’-এর সহ পরিচালক মাহমুদ ফারুকিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিল দিল্লির এক আদালত। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সঞ্জীব জৈন গত বছরের ওই ধর্ষণে দোষী ফারুকিকে একেবারে ন্যূনতম সাজা দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন। জরিমানার অর্থ তাঁকে দিতে হবে ধর্ষিতাকে। না দিলে অতিরিক্ত তিন মাস জেল খাটতে হবে। পাশাপাশি ধর্ষিতাকে যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক স্থির করতে দিল্লি লিগাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


গত ৩০ জুলাই নিজের বাসভবনে মদ্যপ অবস্থায় মার্কিন মহিলা গবেষক ধর্ষণে দোষী ঘোষিত হন ফারুকি।

এর আগে সাজার শুনানির সময় দিল্লি পুলিশ বলেছিল, বিদেশিনীর সঙ্গে ফারুকি যে আচরণ করেছেন, তা দেশের মুখে কালি লেপে দিয়েছে। তাই তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই। ৪৪ বছরের চিত্র পরিচালকের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন, তাঁর মক্কেল বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। তাছাড়া তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতাও করেছেন। তাই তাঁকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত অবশ্যই। তবে ফারুকির চরম সাজা চেয়ে আবেদনকারিনীর কৌঁসুলি বৃন্দা গ্রোভার বলেন, বিদেশিনী মহিলা এ দেশে এসেছিলেন গবেষণার কাজে, কিন্তু তাঁকে সেই লোকটিই কিনা ধর্ষণ করল, যাকে তিনি চিনতেন, জানতেন, যে তাঁর বন্ধু ছিল, যাঁকে তিনি ভরসা করতেন!

ফারুকি জামিনে জেলের বাইরে ছিলেন। দোষী ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

অভিযোগকারিণী ইন ক্যামেরা শুনানির সময় দাবি করেছিলেন, ফারুকি তাঁকে ধর্ষণ করে পরে ক্ষমা চান, তাঁদের মধ্যে ই মেল চালাচালি হয়েছে। ফারুকি যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন।