ওয়ার্ধা: ওয়ার্ধার পুলগাঁওয়ে সেন্ট্রাল অ্যামুনিশন ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০। এঁদের মধ্যে দুজন সেনা আধিকারিক। ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পের ১৭জন আগুনে জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


মঙ্গলবার রাত দেড়টা দুটো নাগাদ ডিপোর একটি ছাউনিতে আগুন লাগে। এরপর পরপর ঘটে কয়েকটি বিস্ফোরণ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিস্তীর্ণ এলাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় জখম হন ডিপোয় কর্মরত বেশ কয়েকজন সেনাকর্মী। হেলিকপ্টার দিয়ে আহত সেনা কর্মীদের উদ্ধার করা শুরু হলেও তাঁদের বেশ কয়েকজনকে বাঁচানো যায়নি। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর এস পওয়ার ও মেজর কে মনোজ। ওয়ার্ধার হাসপাতালের আইসিইউতে আহতদের চিকিৎসা চলছে।

গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে আশপাশের বেশ কয়েকটা গ্রাম ফাঁকা করে দেওয়া হয়। জানা গেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, আর আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। যে ৫টি গ্রামের মানুষকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ঘরে ফিরেছেন তাঁরাও। কীভাবে এই আগুন লাগল তার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। নিজে ঘটনাস্থলে এসে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিক্করকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলগাঁওয়ের এই সেন্ট্রাল অ্যামুনিশন ডিপো দেশের বৃহত্তম অস্ত্রাগার। বিভিন্ন অস্ত্র কারখানা থেকে এখানে এসে যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করা হয়, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে নানা জায়গায়। নাগপুর থেকে ১১০ কিলোমিটারের মত দূরত্বে অবস্থিত এই অস্ত্রাগার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র নষ্টের কাজে সৌরশক্তি ব্যবহার করায় অল্পদিন আগে পুরস্কৃতও হয়েছে। গোটা পশ্চিমাঞ্চলের সেনাবাহিনীর অস্ত্র রাখা হয় এখানে। ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র থেকে এ কে ৪৭- এখানে থাকে নানা ধরনের মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র। ২৪ ঘণ্টা সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা থাকলেও কীভাবে এই অস্ত্রাগারে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।