যদিও সূত্র মারফত মিলেছে স্বস্তির খবর, সুরক্ষিত রয়েছে মজুত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সিরাম ইনস্টিটিউটেই তৈরি হয় করোনারোধী ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড।
জানা গিয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে এক প্রশাসনিক ভবনে আগুন লাগে। সিরাম ইনস্টিটিউটটি বেশ কয়েক একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। যে অংশে আগুন লেগেছে, তার আশেপাশের অঞ্চলে কোভিশিল্ড নয়, তৈরি হয় বিসিজি ভ্যাকসিন।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন যে অংশে তৈরি হয় তা আগুন লাগা অংশের থেকে বেশ অনেকটা দূরে। তাই সেখানে আগুনের কোনও আঁচ পড়েনি। তাই করোনারোধী ভ্যাকসিন মজুত থাকার জায়গা অক্ষতই রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার প্রধান আদার পুনাওয়ালা টুইট করে জানান, 'সরকার ও জনসাধারণকে আশ্বস্ত করতে চাই কোভিশিল্ড সুরক্ষিত রয়েছে।'
সংস্থার পক্ষ জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক একটি ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলে আগুন লাগে। সেই ভবনে সিরামের যে কর্মচারীরা বসেন, সেই অংশে আগুন লাগে। বেশিরভাগ কর্মচারীকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনা গেলেও আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। পরে ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত্যুর খবর স্বীকার করেও নিয়েছেন সিরাম প্রধান আদার পুনাওয়ালা। তিনি জানিয়েছেন, 'অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর পাচ্ছি। কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত গোটা ঘটনায়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নেওয়ার কাজ। প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রথম দুই পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দেওয়া হবে যাদের বয়স ৫০-এর বেশি। এরপর প্রাধান্য পাবে ৫০ বছর কম বয়সি, যাদের কো-মর্বিডিটি আছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য বিনমূল্যে টিকাকরণ করা হবে। দেশের ১৩টা শহরে পৌঁছাচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। যে তালিকায় আছে দিল্লি, আমদাবাদ, কলকাতা, মুম্বই, গুয়াহাটি সহ একাধিক শহর।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার এক কোটি ১০ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটকে। সিরাম জানিয়েছে, ২০০ টাকায় প্রতি ডোজ মিলতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।