নয়াদিল্লি:  মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে আইএস হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, হামলার ষড়যন্ত্রী ভারতীয় বায়ুসের প্রাক্তন কর্মী। কানপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ তিনজন ইতিমধ্যেই ফেরার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, তিনমাস আগে থেকেই চলছিল পুলিশি নজরদারি। তথ্য যোগাড়ের নেপথ্যে ছিল তেলঙ্গনা ও কেরল পুলিশ।
সূত্রের খবর, জঙ্গিরা হোয়াটসঅ্যাপে ট্রেনে রাখা পাইপ বোমার ছবি পাঠায় সঙ্গীদের কাছে। এরপর প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণের খবর মোবাইলে সইফুল্লা জানায় হামলার ষড়যন্ত্রী ভারতীয় বিমানবাহিনীর ওই প্রাক্তন কর্মীকে। এরপরই প্রশ্ন উঠে যায় ভারতীয় সেনার মধ্যেই কী রয়েছে আইএস মডিউল?
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, আইএস-এর ভারতীয় মডিউল বা স্লিপার সেলের নাম খুরাসান। আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ দ্য ইসলামিক স্টেট খলিফেট, দ্য খলিফেট অ্যাকর্ডিং টু দ্য প্রফেট' নামক এক নথিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমে স্পেন থেকে পূর্বে চিন পর্যন্ত নিজেদের দখলে আনতে চায় আইএস।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে ইউরোপ, ভারতীয় মহাদেশের বিস্তীর্ণ অংশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা দখল করার লক্ষ্য স্থির করেছে তারা। পরিকল্পনা খসড়ার মানচিত্রে বিভিন্ন জায়গার নামকরণও করে ফেলেছে ইসলামিক স্টেট। আইএসের মানটিত্রে ভারতীয় উপমহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে ‘খুরাসান’।
লউনয়ে পুলিশ এনকাউন্টারে সইফুল্লার মৃত্যুর পর পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশে আইএস-এর স্লিপার সেল খুরসানের মাথা হল -- জিএম খান, যিনি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী। গোয়েন্দাদের মতে, নেটওয়ার্কে রয়েছে কানপুরের বাসিন্দা মহম্মদ সইফুল্লা, অজগর খলিফা, আতিফ মুজফ্ফর ও মহম্মদ ফয়জল খান। এছাড়া রয়েছে আলিগড়ের বাসিন্দা দানিশ আখতার এবং আজমেঢ়ের বাসিন্দা হুসেন।