শ্রীনগর: শনিবার কয়েক ঘন্টা তুষারধসে বরফের স্তূপের তলায় চাপা পড়ে থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া পাঁচ সেনা জওয়ানকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। জম্মু ও কাশ্মীরের মাচিল সেক্টরে তাঁদের চৌকি তুষারধসের ধাক্কায় বরফের নীচে চলে গিয়েছিল। সারাদিন চেষ্টার পর বিকালে সবাইকেই বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার বিশেষ চিকিত্সার জন্য ওই জওয়ানদের বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান সকলে। শনিবার দীর্ঘক্ষণ বরফে চাপা পড়ে থাকার ফলে শরীরের ভিতরে যে ক্ষতি হয়েছে, তার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি হল ওঁদের।
এই নিয়ে চলতি কয়েকদিনের মধ্যে তুষারধসে চাপা পড়ে মৃত ভারতীয় সেনা জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে হল ২০।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য বরফের বের করে আনার পর ওই জওয়ানের স্পেশাল চিকিত্সার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়াস মার খায়। বিকালে এক সেনাকর্তা বলেন, বাহিনীর পাইলটরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করেই ৫ জওয়ানকে মাচিল থেকে শ্রীনগরে উড়িয়ে নিয়ে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, বীর জওয়ানদের সকলেই শহিদ হয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র এদিন সকালে বলেছিলেন, কাশ্মীর উপত্যকায় একদিকে লাগাতার তুষারপাত চলছে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার দাপট। তার মধ্যেই মাচিলে শনিবার উদ্ধার হওয়া ৫ জওয়ানকে শ্রীনগরে পাঠানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন সেনার বিমান চালকরা।

এদিকে গত  সপ্তাহে তুষারধসে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গুরেজ সেক্টরে মৃত ১৪ জওয়ানের দেহও শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়েছে, যাতে সেগুলি শেষকৃত্যের জন্য যার যার এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এবার রেকর্ড তুষারপাতের সাক্ষী হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। বিপর্যস্ত রেল ও যান পরিবহণ।