লখনউ: চুরি গিয়েছে সখের টিয়াপাখি! পড়শির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লখনউয়ের বাসিন্দা রাম কৃপাল। পেশায় তিনি একজন ইনসপেক্টর। কয়েকদিন থেকেই নিখোঁজ ছিল তাঁর সখের টিয়াপাখির খাঁচা, সঙ্গে পাখিটিও।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, টিয়াটি রয়েছে তাঁরই এক প্রতিবেশীর বাড়িতে। পাখি ফেরত চাইতে গেলে প্রতিবেশী সাফ জানিয়ে দেন, পাখিটি তাঁদের। তাই সেই টিয়াকে ফেরত দেওয়া যাবে না কখনওই। প্রথম তর্কাতর্কি, অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন দুপক্ষই।
আশিয়ানা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয় দুই প্রতিবেশী এবং সেই বিতর্কিত টিয়াটিকে। সমস্যা শুনে ভেবেচিন্তে নতুন উপায় বের করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। বলেন, পাখি যখন পোষা, তবে সে তার মালিককে চেনে। অতএব খাঁচার দরজা খুলে দিলেই পাখি নিজেই খুঁজে নেবে তার মালিককে। যার কাছে পাখি প্রথম যাবে, তিনিই মালিক।
দুই প্রতিবেশীকে সামনে দাঁড় করিয়ে খোলা হল খাঁচার দরজা, বেরিয়ে এল পাখি। কিন্তু মালিককে খুঁজে নিলেই ফের ফিরতে হবে খাঁচায়, টিয়ার মাথায় বোধহয় মালিকের চেয়েও এই চিন্তা ভর করেছিল বেশি। তাই মুক্তির সুযোগ পেয়েই থানার দরজা দিয়ে উড়ে সকলের নাগালের বাইরে পালাল টিয়া। ঘটনা দেখে পুলিশ জানাল, টিয়াকে ফের বন্দি করা কার্যত অসম্ভব। অতএব শূন্য খাঁচা নিয়ে, রাগ চেপে বাড়ি ফিরতে হল দুই প্রতিবেশীকেই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। তাতে দেখা যায়, এক মহিলা রান্নাঘরে রুটি তৈরি করছেন আর জানলায় বসে অপেক্ষা করছে এক টিয়া। রুটি বানানো শেষ হলে টিয়াকে দেওয়া হয় রুটি। মহিলা জানান, টিয়ার হয়ত রুটি খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। লখনউয়ের ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল 'টিয়াপাখির বুদ্ধি'।