নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আক্রমণের মুখে পাল্টা রাহুল গাঁধীকে একহাত নিলেন অরুণ জেটলি।


বৃহস্পতিবার সংসদে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের শুরুটা করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। ২০১৪ সালের সঙ্গে বর্তমান সময়ে ডাল ও অন্যান্য আনাজের দামের তুল্যমূল্য বিচার করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। যার উত্তরে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, সভায় তর্জন-গর্জন করা কখনও পরিসংখ্যান পেশ করার বিকল্প হতে পারে না।

নাম না করে রাহুলকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেন, এখানে স্লোগান দেওয়ার কোনও মানে হয় না। অর্থমন্ত্রীর পাল্টা যুক্তি, গত বছর অনাবৃষ্টির ফলে দেশে ডালের উৎপাদন কমেছে। তা সত্ত্বেও, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ডাল এদেশেই উৎপন্ন হয়েছিল।

পাল্টা পরিসংখ্যান পেশ করে জেটলি বলেন, গড়ে দেশে ডাল উৎপাদন হয় ১৭ মিলিয়ন টন। সেখানে চাহিদা থাকে ২৩ মিলিয়ন টনের। ফলে, ৬ মিলিয়ন টনের ঘাটতি থাকে। তাঁর আশা, চলতি বছর ভাল বৃষ্টি হওয়ায় ডালের উৎপাদন বেড়ে ২০ মিলিয়ন টন দাঁড়াবে। তিনি আরও জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্যমন্ত্রক ২০ লক্ষ টনের বাফার স্টক (মজুত) ব্যবস্থা করে রেখেছে।

নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় নির্বাচনী সভায় মোদীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং মুদ্রাস্ফীতি কমানোর প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তোলেন রাহুল গাঁধী। তার জবাবে জেটলি বলেন, প্রচারে সকলেই এই কথা বলে থাকেন। সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, আশা করি কেউ এতে দ্বিমত পোষণ করবেন না।

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ইউপিএ সরকারের জমানায় দেশের হাল অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতি দু-অঙ্কের ঘরে চলে গিয়েছিল। ২০১৪ সালে যখন কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি, তখন তাদের ঘাড়ে বিশাল বোঝা ছেড়ে যায় পূর্বতন ইউপিএ সরকার।

অর্থমন্ত্রীর মতে, সেই সময় প্রচারে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি বলতেই হয়েছিল। জেটলির দাবি, ইতিমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাল বর্ষা হলে, তা আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ডালের দাম কবে কমবে এদিন মোদীর কাছে তা জানতে চান রাহুল। জবাবে জেটলি বলেন, দাম কবে কমবে, এটা তারিখ দিয়ে বলা সম্ভব নয়। কারণ, দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নীতি-নির্ভর। আর তা সময়-সাপেক্ষ। জেটলি বলেন, ডাল ও অন্যান্য সব্জি সমতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো নিয়ে সরকার সদা-চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।