নয়াদিল্লি: মনমোহন সিংহকে পাল্টা খোঁচা অরুণ জেটলির। রাজ্যসভায় নোট বাতিল ইস্যুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অভিযোগ, বিরোধীরা এ ব্যাপারে বিতর্কের মুখোমুখি না হওয়ার ফন্দি-ফিকির খুঁজছেন। আজ নিজের ভাষণে নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেও তার প্রয়োগ পদ্ধতিতে আপত্তি জানান মনমোহন । বলেন, এর ফলে জিডিপি বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ কমে যাবে। জেটলি তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলে দেশীয় অর্থনীতিতে মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে। কেননা সমান্তরাল ছায়া অর্থনীতি থেকে  টাকা ঢুকবে দেশের আর্থিক মূল স্রোতে। ব্যাঙ্কগুলির টাকা ধার দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। কৃষকদের, সামাজিক ক্ষেত্রে, শিল্পকেও টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।


জেটলি বিরোধীদের পাল্টা সমালোচনা করে বলেন, যারা নিজেদের জমানায় বিপুল পরিমাণ কালো টাকা তৈরি ও একের পর এক কেলেঙ্কারিকে অপরাধ, অন্যায় বলে মনেই করত না, আজ তারাই কালো টাকার বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইকে মহা ভুল বলছে!

রাজ্যসভায় বিতর্কে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের রূপায়ন পদ্ধতিকে ‘পাহাড়সমান ব্যর্থতা’, ‘সংগঠিত লুঠ’ ও ‘বৈধ উপায়ে ছিনতাইবাজি’ বলে আক্রমণ করেন মনমোহন। পাল্টা জেটলি বিগত ইউপিএ আমলকে নিশানা করে বলেন, সবচেয়ে বেশি কালো টাকা মজুত হয়েছে ২০০৪-২০১৪য় ওদের শাসনেই। আর ওই পর্বেই টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারির মতো একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে। সুতরাং সরকারের নেওয়া কালো টাকা বিরোধী পদক্ষেপ যে ওদের ভাল লাগবে না, তাতে আমরা মোটেই অবাক হইনি।

এদিন রাজ্যসভায় বিতর্কের সময় প্রধানমন্ত্রীর থাকার দাবি তুলে বারবার বাধা দেয় বিরোধীরা। জেটলি তাদের পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ওরা মোটেই দুর্নীতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয়, শুধু বাধা দেওয়াই কাজ ওদের। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট। আমরা বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। বিরোধীরা তা এড়ানোর ছুতো খুঁজছে। প্রধানমন্ত্রী বিতর্কে থাকবেন, আজ সকালের এই ঘোষণায় ওরা চমকে ওঠে। এখন ওরা বিতর্ক থেকে পালাতে মরিয়া।