জেটলি বিরোধীদের পাল্টা সমালোচনা করে বলেন, যারা নিজেদের জমানায় বিপুল পরিমাণ কালো টাকা তৈরি ও একের পর এক কেলেঙ্কারিকে অপরাধ, অন্যায় বলে মনেই করত না, আজ তারাই কালো টাকার বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইকে মহা ভুল বলছে!
রাজ্যসভায় বিতর্কে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের রূপায়ন পদ্ধতিকে ‘পাহাড়সমান ব্যর্থতা’, ‘সংগঠিত লুঠ’ ও ‘বৈধ উপায়ে ছিনতাইবাজি’ বলে আক্রমণ করেন মনমোহন। পাল্টা জেটলি বিগত ইউপিএ আমলকে নিশানা করে বলেন, সবচেয়ে বেশি কালো টাকা মজুত হয়েছে ২০০৪-২০১৪য় ওদের শাসনেই। আর ওই পর্বেই টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারির মতো একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে। সুতরাং সরকারের নেওয়া কালো টাকা বিরোধী পদক্ষেপ যে ওদের ভাল লাগবে না, তাতে আমরা মোটেই অবাক হইনি।
এদিন রাজ্যসভায় বিতর্কের সময় প্রধানমন্ত্রীর থাকার দাবি তুলে বারবার বাধা দেয় বিরোধীরা। জেটলি তাদের পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ওরা মোটেই দুর্নীতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয়, শুধু বাধা দেওয়াই কাজ ওদের। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট। আমরা বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। বিরোধীরা তা এড়ানোর ছুতো খুঁজছে। প্রধানমন্ত্রী বিতর্কে থাকবেন, আজ সকালের এই ঘোষণায় ওরা চমকে ওঠে। এখন ওরা বিতর্ক থেকে পালাতে মরিয়া।