নয়াদিল্লি: কোটি কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের জামিনের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ মাস তিনি জেলে রয়েছেন, জামিনের স্বপক্ষে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রতিষ্ঠাতার এই যুক্তি নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বক্তব্য, তাঁর ১৪ বছরের জেলের সাজার কাছে ২৪ মাস কিছুই নয়!
লালুর কৌঁসুলি সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবল জানান, তাঁর মক্কেল যে একমাত্র অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সেটা হল ষড়যন্ত্র। মামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি পূরণ বা দাবির ব্যাপার নেই।

গতকাল সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ লালুপ্রসাদ হঠাৎ লোকসভা ভোটের আগে ভোটের কাজের জন্য নিজেকে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ’ বলে দাবি করেছেন। গত ৮ মাস ধরে জেলে থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করছেন তিনি। অসুস্থ হয়েও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জামিন চাইছেন। আবেদন ম়ঞ্জুর হলে ভুল বার্তা যাবে।

সূত্রের খবর, রাঁচি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন আসন্ন লোকসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। হাসপাতালে থাকাকালীন ডেরেক ও ব্রায়েন, শরদ যাদব, হেমন্ত সোরেন, আহমেদ পটেল, ডি রাজার মতো ব্যক্তিত্ব দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে।

চারটি পশুখাদ্য মামলা সহ ৭৫.৪৮ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের জন্য দোষী সাব্য সাব্যস্ত হয়েছেন লালু প্রসাদ। এছাড়াও ১৩৯.৪৫ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছে কার ওপর।

লালু প্রসাদকে বিরসা মুন্ডা সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। ১০ জানুয়ারি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ঝাড়খন্ড হাইকোর্টে জামিনের জন্য আপিল করেন লালু।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ৯০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলা হয় লালুর বিরুদ্ধে। ১৯৯০-এর প্রথমে বিহারের ঝাড়খণ্ডে পশুখাদ্য দপ্তর থেকে টাকা নয় ছয় করার ৩টি মামলা রুজু হয় লালু প্রসাদ যাদবেব বিরুদ্ধে। এই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের দেওঘর, দুমকা ও চৈবাসাতেও আর্থিক দুর্নীতি চালান তিনি।

হাইকোর্টে অসুস্থতা ও বয়সজনিত কারণে জামিন পান লালুপ্রসাদ। বর্তমানে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিট্রিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়ছেন তিনি।