নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যার নিরিখে বৃহত্তম দল হল বিজেপি। সংসদের উচ্চকক্ষে এরফলে গত ৬৫ বছরে এই প্রথম দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল কংগ্রেস। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৫৮, কংগ্রেসের ৫৭। যদিও ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।
কংগ্রেস ২০১৮ পর্যন্ত বৃহত্তম দলই থাকত রাজ্যসভায়। কিন্তু দলের দুই সাংসদের মৃত্যু হওয়ায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা হয় ৫৭। এরইমধ্যে প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনিল দাভের আসনে মধ্যপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির সম্পাথিয়া ইউকি। গতকাল তিনি শপথ নিয়েছেন। এর ফলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা টপকে গেল বিজেপি।


পশ্চিমবঙ্গে ছয় আসনের মধ্যে একটি থেকে রাজ্যসভা সদস্য হচ্ছেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। আগামী মঙ্গলবার গুজরাতের তিন আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। এতে অবশ্য বিজেপি গরিষ্ঠতায় কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ, গুজরাতের দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীই জিততে চলেছেন। অন্য একটি আসনে কংগ্রেসে আহমেদ পটেলের রাজ্যসভায় ফেরা আটকাতে তত্পর বিজেপি।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে আট সদস্য নির্বাচিত হয়ে এসে উচ্চকক্ষে বিজেপির পাল্লা আরও ভারি হবে। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার নয়টি আসন শূন্য হবে। এর মধ্যে বিজেপি পাবে আটটি আসন।

লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় তা নেই। তাই উচ্চকক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও বিলগুলি পাস করাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারকে। এক্ষেত্রে এআইএডিএমকে, বিজেডি-র মতো আঞ্চলিক দলগুলির ওপর নির্ভর করতে হয়। এবার জেডি-ইউ সদস্যদেরও সমর্থন পাবে বিজেপি।  সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয় বিজেপিকে রাজ্যসভায় আরও বেশি সদস্য পাঠানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
রাজ্যসভায় বিজেপি-র বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসার প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, দলের সমর্থনের ভিত্তি বাড়ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যসভায় এক নম্বর দল হয়েছে বিজেপি। উচ্চকক্ষের নেতা জেটলি বলেছেন, বেশিরভাগ রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি। তাই রাজ্যসভায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেছেন, বিজেপি বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার ভোটে জিতেছে। তাই  এটা স্বাভাবিক ঘটনা।