নয়াদিল্লি: নোট বাতিলের ধাক্কায় নগদের অভাবে নাজেহাল আমজনতা। ব্যতিক্রম নয় বিদেশী দূতাবাসগুলিও। গতকালই রুশ দূতাবাস এ ব্যাপারে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। এদিন কূটনৈতিক মহলের জোটের প্রধান টাকা তোলার সীমা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি ভারত সরকারকে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে বলেছেন।

নোট বাতিলের ধাক্কায় অনেক বিদেশি মিশনই টাকার অভাবে ভুগছে। এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হস্তক্ষেপ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিপ্লোম্যাটিক কর্পসের ডিন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক হান্স ডানেনবার্গ কাস্টেলানোস। তিনি বলেছেন, বিদেশি মিশনগুলিকে তাদের তহবিল ব্যবহার করার সুবিধা দেওয়া উচিত। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তোলার উর্ধসীমা দৈনন্দিন কাজ চালানোর পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। ওই সীমা তুলে নেওয়া উচিত।

ফ্রাঙ্কের গলায় শোনা গিয়েছে হুঁশিয়ারিও। তিনি বলেছেন, বেশ কয়েকটি বড় দেশ তো ভারতীয় কূটনীতিকদেরও পাল্টা সমস্যার মুখে ফেলে দিতে পারে।

রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখাস্তানের মতো আরও কয়েকটি দেশ এই সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারে দ্বারস্থ হয়েছে। রুশ দূত আলেকজান্ডার কাদাকিন ইতিমধ্যেই নগদ তোলার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নগদ তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের ফলে দূতাবাসে দৈনন্দিন কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ডিপ্লোম্যাটিক কর্পসের ডিন ফ্রাঙ্ক আশাপ্রকাশ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।নগদ তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ যাতে তুলে নেওয়া হয় , সেজন্য ডিপ্লোম্যাটিক কর্পসের ডিন হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন।

ফ্রাঙ্ক বলেছেন, ইরান, সুদান, কিউবা সহ কয়েকটি দেশ থেকে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা দারুন সমস্যায় পড়েছেন। কারণ, ওই সব দেশে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড নেই।

ভিন দেশ থেকে যে নাগরিকরা এসেছেন তাঁরা এখানে এসে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তা দেখা দূত হিসেবে তাঁদের কর্তব্য বলে জানিয়েছেন ফ্রাঙ্ক। তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন বিদেশী মিশনই সমস্যায় পড়েছে। বিষয়টি ভারতের বিদেশমন্ত্রককে জানানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে চিঠিও লিখেছেন ফ্রাঙ্ক।