নয়াদিল্লি: ২৩-২৪ জুন পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) প্লেনারির আগে ভারতের সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জোরদার করতে সিওল যেতে পারেন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এনএসজি-র সরকারি স্তরের অধিবেশন। সেই অধিবেশনের ঘটনাবলীর গতিপ্রকৃতির দিকে জয়শঙ্কর খুবই গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখছেন এবং সেখান থেকে কী ফিডব্যাক আসে, তার ওপর নির্ভর করে ‘চূড়ান্ত চাপ’ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে যেতে পারেন বসে শোনা যাচ্ছে সরকারি সূত্রে।


ঘটনাচক্রে এলিট এনএসজি গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তি চায় না, এটা নানা ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে চিন। তাদের দাবি, ভারত পরমাণু প্রসার রোধ (এনপিটি) চুক্তিতে সই করেনি। তাই ভারতকে সদস্য করলে এনপিটি-তে সই না করা পাকিস্তানকেও জায়গা দিতে হবে এনএসজি-তে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নয়াদিল্লি ওই গোষ্ঠীর অন্য সদস্য দেশগুলির সমর্থন পেতে জোর কূটনৈতিক উদ্যোগ চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ভারতের দাবি বলিষ্ঠ ভাবে তুলে ধরতে, পাশাপাশি অন্য দেশগুলিকে পাশে পেতে ইতিমধ্যেই সিওলে হাজির হয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের পদস্থ অফিসার অমনদীপ সিংহ গিল। তিনি হলেন মন্ত্রকের নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা শাখার ইন-চার্জ।

প্রসঙ্গত, ২৪ জুন এনএসজি-র প্লেনারির মূল বৈঠকটি হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট উপলক্ষ্যে তাসখন্দ পৌঁছনোর পরদিন। তাসখন্দের সম্মেলনে থাকবেন চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংও। মোদী সম্মেলনের ফাঁকে জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের এনএসজি-র সদস্যপদের দাবির ইস্যুটি তুলতে পারেন। তবে তেমন আলোচনা হলেও তাতে ভারতের লক্ষ্য পূরণের পথ সুগম হবে কিনা, সেটাই দেখার।

 

ফ্রান্সের নজির দেখিয়ে ভারত বরাবরই বলে আসছে, এনএসজি-র সদস্যপদ পেতে হলে এনপিটি-তে সই করা বাধ্যতামূলক নয়।

ভারত পরমাণু প্রযুক্তির লেনদেন ও রপ্তানির যোগ্যতা পেতেই এনএসজি-র সদস্যপদ চাইছে।

বলা হচ্ছে, এনএসজি-র সদস্য হলে ভারতের সামনে আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা খুলে যাবে। ২০৩০ নাগাদ ৬৩ হাজার মেগাওয়াট পরমাণু শক্তি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেছে ভারত।